Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৫২ দিন পর বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:১০ AM
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:১০ AM

bdmorning Image Preview


আবারও শুরু হয়েছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয় দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটিতে।

দীর্ঘ ৫২ দিন বন্ধ থাকার পর আবার উৎপাদন চালু হওয়ার পর ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ওই ইউনিট থেকে ১৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই দেশের একমাত্র কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। 

এবিষয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার জানান, ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটির বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় স্টিম চালু করা হয়।

তিনি আরো বলেন, তৃতীয় এ ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন দুই হাজার ৮০০ টন কয়লা। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুদ আছে প্রায় ছয় হাজার টন কয়লা। আর গত ৮ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কয়লা উত্তোলন শুরুর পর প্রতিদিন দুই হাজার থেকে ২২০০ টন কয়লা খনি থেকে পাওয়া যাচ্ছে।

প্রকৌশলীআব্দুল হাকিম সরকার বলেন, ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি চালু করা হয়েছে। কয়লার মজুদ বাড়লে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুইটি চালু করা হবে। ওই দুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট করে ২৫০ মেগাওয়াট।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবং খনি থেকে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ায়, সংকটে পড়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ফলে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।

তাছাড়া গত ২০ আগস্ট শুধু ঈদের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট চালু করা হয়। ৯ দিন চালু থাকার পর তা আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরাঞ্চলের আট জেলার মানুষ।

Bootstrap Image Preview