Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অনলাইনে কেনাকাটা, প্রতারণার ডিজিটাল ফাঁদ

জাহিদ হাসান
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:০৬ PM
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:০৬ PM

bdmorning Image Preview


জাহিদ হাসান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

সাথী খাতুন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। ফেসবুকের মাধ্যমে লুক অ্যাট মি নামে একটি ফেসবুক পেইজ চোখে পড়ে তার। সেখানে দেয়া আছে দেশী বিদেশী হাজার নামি দামি উন্নতমানের বিভিন্ন ধরনের আকর্ষনীয় পোষাক ও বিভিন্ন পণ্যের ছবি। লাল কালারের লন্ডনের তৈরি একটি জামার ছবি দেখে আকৃষ্ট হন সাথী খাতুন। যার মূল্য দেয়া হয় ৭ হাজার ৫'শ টাকা।

জামাটি পছন্দ হওয়ায় মোবাইলের মাধ্যমে অর্ডার করা হয়। তাদের কথামত প্রথমে ০১৮১২-৭৪৬১৮১ নাম্বারে বিকাশ করে ১ হাজার টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়। সে সময় জামাটি কুরিয়ারে পৌছাতে ১০ দিন সময় চাওয়া হয়। এরপর কাঙ্খিত জামার জন্য অপেক্ষা করেন সাথী খাতুন। গত মাসের ২৫ তারিখ চাঁপাইনবাবগঞ্জের এস এ পরিবহন হতে ফোন আসে সাথীর মোবাইলে। সাথী কুরিয়ারের কন্ডিশন অনুযায়ী ৬ হাজার ৭৫০ টাকা পরিশোধ করে পার্সেলটি বুঝে নেন। আনন্দের পার্সেলটি হাতে নিয়ে বাড়ি যান সাথী খাতুন।

এরপর দুপুরে পার্সেলটি খোলার পর যেন আকাশ হতে পড়ার মত অবস্থা। সাড়ে ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে পাঠানো হয়েছে ৫'শ টাকা মূল্যের একটি ভ্যানেটি ব্যাগ। এরপরে ভূক্তভোগী সাথী খাতুন যোগাযোগ করেন অনলাইন প্রতিষ্ঠান লুক অ্যাটমির দেয়া ফেসবুক পেইজ ও মোবাইল ফোনে। ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়।

ঘটনা শুনে ওই প্রতারক কোম্পানিটি প্রথমে বলেন, অন্যের অর্ডারের প্যাকেট ভূল করে আপনার কাছে চলে গেছে পরবর্তীতে পরিবর্তন করে দেয়া হবে। এরপর বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও পরিবর্তন করে দেয়া হয়নি। বর্তমানে সাথী খাতুনকে পেইজ হতে এবং মোবাইল নাম্বারে ব্লক করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতারণার স্বীকার সাথী খাতুন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষরন অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এমনি আরও একটি অনলাইন হতে প্রতারিত হয়েছেন শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের এক ছাত্রী। অনার্স পড়ুয়া ওই ছাত্রী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, পরিবারের কাউকে কিছু না বলে দীর্ঘদিনের জমানো টাকা দিয়ে একটি আংটি ও নূপুর অর্ডার করা হয়। সেখানে মোট মূল্য ধরা হয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। কিন্তু অনলাইনটি যে নূপুর ও আংটি পাঠিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে সর্বচ্চো ৫শ টাকার বেশি নয়। ওই নূপুর ও আংটি ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

এমন অভিযোগ করেছেন অনেকে বিভিন্ন নামিদামি অনলাইন কোম্পানির বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে লুক অ্যাট মির ফেসবুক পেইজ ও মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগের চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এমন কি মেমোতে দেয়া মিরপুর ১০ এর ঠিকানায় গিয়েও তাদের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান, অনলাইনে কেনাকাটা করার আগে যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগে গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে।

Bootstrap Image Preview