সাতক্ষীরার আশাশুনিতে দীপালী মণ্ডল নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ উপজেলার জেলপাতুয়া গ্রাম থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে।
দীপালী মণ্ডল উপজেলার জেলপাতুয়া গ্রামের মনোজিৎ কুমার মণ্ডলের স্ত্রী ও একই উপজেলার বাকড়া গ্রামের নির্মল সরকারের মেয়ে।
মৃতের বাবা নির্মল সরকার জানান, আশাশুনি উপজেলার জেলপাতুয়া গ্রামের গোয়ালডাঙা গ্রামের কার্তিক মণ্ডলের ছেলে মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে তার মেয়ে মিতালী সরকারের ছয় বছর আগে বিয়ে হয়।
হৃদয় নামে তাদের তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে গোয়ালডাঙা গ্রামের তপন মণ্ডলের মেয়ে মিতালী মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় দীপালীকে প্রায়ই মারপিট করতো মনোজিৎ ও তার মা শেফালী।
একপর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে তাকে শাশুড়ি ও জামাতা মিলে নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশের গলায় তোয়ালে জড়িয়ে রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
পরে দীপালী আত্মহত্যা করেছে এমন প্রচার দিয়ে মনোজিৎ ও তার মা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ দীপালীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।