Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মেয়ে ভার্সিটিতে পড়বে বলেই বিলাসবহুল বাড়ির সাথে ১৩ কর্মী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৭ AM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৭ AM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


বিডিমর্নিং ডেস্ক-

স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সময় পড়াশোনা করেছেন ডিউক ও ডাচেস অব কেমব্রিজ উইলিয়াম ও কেট। রাজ পরিবারের সদস্য হওয়া সত্বেও তাঁরা আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতো খুব সাধারণভাবেই থাকতেন। প্রশ্ন আসতে পারে এ কথা আবার নতুন করে বলার কী আছে?

কিন্তু সম্প্রতি এক ভারতীয় কিশোরীর জন্য একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করানোর জন্য ১৩ জন গৃহকর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন মেয়েটির পরিবার। ভারতীয় কোটিপতি-কন্যার জন্য এমন আয়োজনে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে বৃট্রিশ গণমাধ্যমে।

আর এটা সর্বপ্রথম নজরে আসে এক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। কয়েক মাস আগেই বেরিয়েছিল বিজ্ঞাপনটি— মালিককে ঘুম থেকে তোলার জন্য কর্মী চাই!

কিন্তু কার জন্য এমন বিজ্ঞাপন, সে প্রশ্নেই সরগরম ছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। তবে উত্তরটি মিলেছে সম্প্রতিই। জানা গেছে, এক ভারতীয় কোটিপতির কিশোরী কন্যা সবে ভর্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্যই এত আয়োজন!

স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছে ওই মেয়েটি। তার মধ্যেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে সে। জুটে গেছে সবচেয়ে অভিজাতের তকমাও।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী বরাবরই বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য কি সেসব ছাড়তে হবে তাকে? এটি তো আর কয়েক মাসের ব্যাপার নয়! পুরো চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটাতে হবে। কিন্তু এতদিন থাকতে গেলে সহপাঠীদের সঙ্গে তো ঘর শেয়ার করতে হবে! এমনকি নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে!

মেয়ের এহেন অসুবিধায় এগিয়ে আসে পরিবারই। বাড়ির আদরের মেয়ের যাতে কষ্ট না হয়, তার জন্যই বিলাস-ব্যসনের এলাহি আয়োজন। প্রথমেই সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি বিশাল বাড়ি কিনে ফেলেছে পরিবারটি। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়ে মেয়েকে সঙ্গ দেবেন তার বাবা-মা ও ভাই।

কিন্তু মেয়ের কাজ কে করবে? তার জন্যই তো নিয়োগ করা হয়েছে ১৩ কর্মীকে। আর এ কর্মী নিয়োগ করার জন্যই যোগাযোগ করা হয়েছিল এক অভিজাত নিয়োগকারী সংস্থা সিলভার সোয়ানের সঙ্গে। তারা একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, শহরতলিতে ঘরের কাজের জন্য ১৩ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী চাই। মাইনে— বছরে ৩০ হাজার পাউন্ড।

এখানেই শেষ নয়, বিজ্ঞাপনে এ-ও বলা ছিল যে, ঘরের কাজের মহিলা কর্মীকে কর্মশক্তিতে ভরপুর, উচ্ছল হতে হবে। ওই মহিলা কর্মীর কাজ হল— রুটিন অনুযায়ী অন্য কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, ওয়্যারড্রব গ্রুমিং ও মেয়েটির ব্যক্তিগত শপিংয়ে সাহায্য করা। শুধু তা-ই নয়, মেয়েটির ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যেতে দেরি না হয়ে যায়, সে কারণে মেয়েটিকে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেয়াটাও মহিলা কর্মীর কাজের মধ্যে পড়বে।

আর খাওয়া-দাওয়া? সে বিষয়েও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শেফ খুঁজেছে পরিবারটি। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ওই ছাত্রীর জন্য রান্না করতে যারা ইন্টারভিউ দেবেন, তাদের ভারতীয় খাবার বানানো জানতে হবে।

বিশেষ করে, দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। এ ছাড়া চাইনিজ ও ইতালীয় খাবারদাবার বানানোয়ও দক্ষ হতে হবে শেফকে। এ ছাড়া সাহায্যকারী কর্মীদের দলে থাকছেন একজন মালি, একজন গাড়ির চালক ও এক বাটলার।

কে সেই কোটিপতি কন্যা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও। কারণ কোনো সংবাদমাধ্যমেই এখনও মেয়েটি বা তার কোটিপতি বাবার নাম প্রকাশিত হয়নি।

Bootstrap Image Preview