Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি-পাসপোর্ট, জড়িতদের ধরতে তৎপর সরকার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:০৪ PM
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:০৪ PM

bdmorning Image Preview


মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা জড়াচ্ছে নানা অপরাধ আর অনিয়মে। তথ্য গোপন করে অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন অনেকে। আর এ কাজে তাদের সহায়তা করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশন ও পাসপোর্ট অফিসের কেউ কেউ। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা ধরা পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে সরকার ও প্রশাসন। তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশনও।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। আজ (শুক্রবার) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে, সেদিকে কর্মকর্তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। দুয়েক জনের কর্মকাণ্ডের জন্য অনেক সময় কমিশনকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। এজন্য সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে।

পাসপোর্ট তৈরি, এনআইডি সংশোধন, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। তবে, সব নিয়ম কানুন যেন শুধুই বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য। রোহিঙ্গাদের বেলায় যেন নিয়মের বালাই নেই। এমনই কয়েকটি ঘটনা ধরা পড়ায় সতর্ক সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনের একজন অফিস সহায়কসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে চক্রের মূল হোতারা।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ পাসপোর্ট কার্যালয়ে ৭৪ জন, মনসুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ে ৫৪ জন, পুলিশের বিশেষ শাখায় ২ জন এবং কক্সবাজার জেলা পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নেয়ার চেষ্টা করে।

একইভাবে টাকার বিনিময়ে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি, নবায়ন, ভোটার তালিকায় নাম ওঠানোর কয়েকটি ঘটনাও ধরা পড়েছে। এসব কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের চট্টগ্রাম অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফউদ্দিন জানান, এগুলো আসলেই জনপ্রতিনিধিরা দিয়েছেন, নাকি তাদের নাম ব্যবহার করে বানানো হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাসপোর্ট তৈরি ও রোহিঙ্গাদের বিদেশে পাঠানোর সঙ্গে কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠেছে। তাদের ধরতে প্রায় ১৫০টির মতো পাসপোর্টের তথ্য যাচাই-বাছাই করছে দুদক।

সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশের একাধিক তদন্ত দল কাজ করছে। সংশ্লিষ্টদের ধারনা, ২০১৫ সালে চুরি যাওয়া নির্বাচন কমিশনের ল্যাপটপের সার্ভার ব্যবহার করে ভোটার করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। তাই ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে ৫১৮টি থানা ও উপজেলা অফিসের সার্ভারের পাসওয়ার্ড ও কোড নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া নতুন ভোটার করার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ এলাকা ঘোষিত ৩২টি থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview