Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নতুন বউয়ের সাথে বাসরঘরে ঢুকে পড়লো প্রেমিকা, অতঃপর...

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১০:৩৭ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১০:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


রংপুরের তারাগঞ্জে নববধূ নিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই বাসরঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলেন প্রেমিকা। পরে বিয়ের দাবিতে অনশন করায় মারধর করে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বর্তমানে ওই প্রেমিকা আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় বুধবার নির্যাতিতা প্রেমিকা প্রেমিক মাহমুদুলসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ফরিদাবাদ পুঁটিমারী গ্রামের মাস্টার্স পড়ুয়া তরুণীর (২৫) সঙ্গে ফরিদাবাদ ডাক্তারপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী মোজাহারুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসানের (২৮) দীর্ঘ ৫ বছর প্রেমের সম্পর্ক।

এরই ফাঁকে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত বছর ১৭ অক্টোবর মাহমুদুল হাসান রাত প্রায় দেড়টার দিকে প্রেমিকার বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং বিবাহ বিষয়ে কথা আছে- এমন কথা বলে ওই তরুণীকে ঘরের দরজা খুলে দিতে বলেন।

প্রেমিকের মুখে এমন কথা শুনে ওই তরুণী দরজা খুললে মাহমুদুল হাসান তার ঘরে ঢুকে তার পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে- এই বলে তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেদিনও জোরপূবর্ক ধর্ষণ করলে তার পরিবারের লোকজন ও ওই গ্রামের লোকজন টের পেয়ে মাহমুদুলকে আটক করেন।

পরে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে মাহমুদুলের পিতা মোজাহারুল ইসলাম ভালো দিন দেখে মাহমুদুলের সঙ্গে তার বিয়ে দেবে বলে অঙ্গীকার করে ওই রাতে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর গত রোববার সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণী জানতে পারেন যে তার প্রেমিক মাহমুদুল হাসান বিয়ে করে তার নববধূকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন।

এমন খবর পেয়ে ওই তরণী ওই দিন দুপুরে তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে প্রেমিকের ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় প্রেমিক মাহমুদুল হাসানসহ তার পরিবারের লোকজন তরুণীকে মারপিটসহ তার চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে তাদের বারান্দায় রাখেন।

এ ঘটনায় তরুণীর বাবা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আজম কিরণের নিদের্শে ঘটনার দিন মধ্যরাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান, গ্রামপুলিশ জাহান আলী ও নায়েব আলী ঘটনাস্থলে আসেন।

এ সময় নির্যাতিত প্রেমিকা তার প্রেমিকের বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে দ্বিতীয়বার মাহমুদুলের পরিবারের লোকজন তাকে কিলঘুষি মারাসহ লোহার রড় দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করার পাশাপাশি তাকে বিবস্ত্র করে।

এ সময় সেখান থেকে ওই তরুণীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বুধবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড ব্যথায় চিৎকার করছেন তিনি। তিনি প্রতারক প্রেমিক মাহমুদুলের ফাঁসি দাবি করেন।

অভিযুক্ত প্রেমিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, তার সঙ্গে কথা ছিল শুধু প্রেম করব কিন্তু বিয়ে করব না। তিনি বলেন- চকিদারের মেয়েকে বিয়ে করা কি আমার মতো পরিবারের পক্ষে মানায়।

মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়নি; এমনিতেই একটু টানাহেঁচড়া করা হয়েছে।

তারাগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview