Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা ৫ জন, ভোটার সংখ্যা ১৯ জন!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৭:২০ PM
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৭:২০ PM

bdmorning Image Preview


সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন আগামী ২০ অক্টোবর। নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে মাঠে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন পাঁচ প্রার্থী। প্রার্থী সংখ্যা পাঁচজন হলেও ওয়ার্ডটিতে ভোটার সংখ্যা মাত্র ১৯!

দৌলতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডটির অধিকাংশ এলাকা নবগঠিত বিশ্বনাথ পৌরসভায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় ভোটারের সংখ্যা একেবারেই কমে এসেছে। মাত্র ১৯ ভোটার নিয়ে উপ-নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় সচেতন মহল।  

জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ছোরাব আলী মারা যাওয়ায় সেটি শূন্য ঘোষিত হয়। পরে শূন্য ঘোষিত ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাচাই-বাচাই শেষে বৈধ হওয়া ৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি এই ওয়ার্ডের ‘চড়চন্ডি, ছত্রিশ উত্তর, মিয়াজানের গাঁও ও হাবড়া’ নামক ভোটার এলাকা নবগঠিত বিশ্বনাথ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ফলে দৌলতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে বর্তমানে ‘নতুন হাবড়া বাজার ও পুরান হাবড়া বাজার’ নামে মাত্র দুটি এলাকা রয়েছে। যার ভোটার সংখ্যা মাত্র ১৯। পৌরসভায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া ওই ৪টি এলাকার ভোটাররা উপ-নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলে মাত্র ১৯ জন ভোটারই ২০ অক্টোবর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এদিকে, ১৯ ভোটারের জন্য দৌলতপুর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আগামীতে অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে নবগঠিত বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ৫টি ইউপি নির্বাচন-এমটাই মনে করছেন সচেতন মহল। তারা মনে করছেন, ওই ওয়ার্ডে নির্বাচনের ফলে পরবর্তীতে তৈরি হতে পারে নির্বাচনী জটিলতা। দীর্ঘদিন স্বপদে থাকতে জটিলতা তৈরি করতে পারেন সুযোগ সন্ধানী জনপ্রতিনিধিরা। পৌরসভায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া এলাকায় কীভাবে একটি ইউপির ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের আয়োজন করা হলো- এমন প্রশ্ন তুলে সচেতন মহল বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘ওই ওয়ার্ডের বিশাল অংশ বিশ্বনাথ পৌরসভায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার ব্যাপারে অবগত ছিলাম না। গত মঙ্গলবার পৌরসভার ওয়ার্ড বিভক্তিকরণের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে ওই ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনে লিখিত পাঠিয়েছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরপ্রশাসক বর্ণালী পাল বলেন, ‘বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।’

Bootstrap Image Preview