Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তরুণীদের হোটেলে দেহ ব্যবসা করানো কে এই ইভান শাহরিয়ার?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৪৮ PM
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। দেশের নামকরা কোরিওগ্রাফার তিনি। মাত্র চার বছর থেকেই নাচের সঙ্গে যোগসাজশ সোহাগের। ‘নিত্যভূমি’ নামে একটি নাচের দল রয়েছে তার।  ‘ধ্যাততেরিকি’ চলচ্চিত্র জন্য সেরা নৃত্য পরিচালক হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।

এদিকে দুবাইয়ে ড্যান্সবারের আড়ালে নারী পাচারের অভিযোগে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের একটি দল রাজধানীর নিকেতনের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।

তিনি বলেন, ‘দুবাইয়ে ড্যান্সবারের আড়ালে নারী পাচারের অভিযোগে সম্প্রতি আজম খানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে উঠে আসে কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগের নাম। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার সকালেই তাকে আদালতে সোপর্দ করে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।’

অভিযানে অংশ নেয়া ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃত চক্রটি দুবাইয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে নৃত্যশিল্পী নিয়ে যেতেন। পরে এদের মধ্য থেকে ২/১ জন করে রেখে আসতেন। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। এ বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তে এবং পূর্বে গ্রেফতার আসামিদের জবানবন্দিতে কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগের জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, গত মাসে দুবাই পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে আজম খানসহ নারী পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই চক্রটি মূলত নৃত্যকেন্দ্রিক। কয়েকজন নৃত্য সংগঠক ও শিল্পী এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তারা দেশের বিভিন্ন নাচের ক্লাব বা সংগঠন থেকে মেয়েদের সংগ্রহ করে কাজ দেয়ার নামে দুবাই পাঠান। পরে দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যান্সবারে তাদেরকে যৌনকর্মে বাধ্য করতেন।

চক্রটির বাংলাদেশের মূলহোতা আজমসহ তার দুই সহযোগী ময়না ও মো. আলামিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ডকে গ্রেফতারের পর সিআইডি জানায়, প্রথমে হোটেলে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০/২২ বছর বয়সী তরুণীদের প্রলুব্ধ করা হতো। বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য বেতন হিসেবে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করা হতো। শুধু তাই নয় দুবাইয়ে যাওয়া-আসা বাবদ সব ধরনের খরচও দিত দালাল চক্র। কিন্তু দুবাই যাওয়ার পরে তাদেরকে হোটেলে জিম্মি করা হয়, জোরপূর্বক দেহ ব্যবসাসহ ড্যান্সক্লাবে নাচতে বাধ্য করা হয়।

গত আট বছরে এভাবে প্রলুব্ধ করে চাকরির নামে বাংলাদেশের শতাধিক তরুণী-কিশোরীকে দুবাইয়ে পাচার করা হয়েছে। তাদেরকে দিয়ে প্রস্টিটিউশনে জড়াতে বাধ্য করেছে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্র।

Bootstrap Image Preview