Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার রাজধানীতে খোঁজ মিললো ক্যান্সারের ভেজাল ওষুধ কারখানা, যাচ্ছে বিদেশেও

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০, ০৫:১৬ PM
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২০, ০৫:১৬ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীতে দেদারসে তৈরি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। এই মুহূর্তে প্রশাসনের সব নজরদারি যেহেতু করোনা কেন্দ্রিক, তাই এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে প্রতারক চক্র। এন্টিবায়োটিক তো বটেই ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ভেজাল এসব ওষুধ দেশের পাশাপাশি চোরাই পথে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। চলছে ওষুধ প্যাকেজিংয়ের কাজ। শুধু এই কাজ করার বেতন ১৫ হাজার টাকা। রাজধানীর হুমায়ুন রোডের বাসারটির দু'টি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে এ কাজ চলতো দিনের পর দিন। আবাসিক এলাকা তাই সন্দেহের সুযোগ কম।

দেশের নামিদামি বেশ কয়েকটি কোম্পানির ওষুধ নকল করে সেগুলো দেশের বাজারেতো বটেই, মোবাইল যন্ত্রাংশের আড়ালে পাঠিয়ে দেওয়া হতো ভারত ও চীনে। মাত্র ৩০টি ট্যাবলেটের এই এক ফাইল ওষুধের দাম ১৫ হাজার টাকা।

যে জায়গায় বসে ওষুধ বানানো হতো তার পাশের ঘরে পাওয়া গেল গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম। কোম্পানির নাম কে এম ট্রেডার্স। মালিক মামুনের দাবি, তাকে এই ওষুধগুলো সরবরাহ করতো মাসুদ রানা নামে একজন। কিন্তু এসব তৈরি হতো কোথায় তা জানা নেই তার।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, মাসুদকে ধরতে মাঠে নেমেছেন তারা।

ডিএমপি ডিবি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো রফিকুল ইসলাম বলেন, মাসুদ রানা চক্রের আরো কিছু লোক আছে, তদন্ত চলছে।

রাজধানীর মিটফোর্ড ও বাবুবাজার এলাকার ওষুধের দোকানগুলোতে পাইকারি দরে মিলছে নকল ওষুধ। নামিদামি কোম্পানির একটা অ্যান্টিবায়োটিকের দাম যেখানে ১০ টাকা, সেখানে একই নামের কিংবা কিছুটা ভিন্ন নামে ওষুধ মিলছে নামমাত্র দামে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ওষুধ দেহের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর। তার মতে, করোনার এই দুর্যোগে এসব নকলবাজরা যাতে আড়ালে থেকে না যায় সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ওষুধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মুনির উদ্দিন বলেন, যেহেতু দৃষ্টি চলে গেছে করোনার দিকে তাই দুস্কৃতিকারীরা সুযোগ পেয়ে গেছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দাবি, সাধ্যমতো কাজ করছেন তারা।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, আমাদের নজরে যেগুলো আসছে এবং গোয়েন্দারা যেগুলো ধরছে সেগুলোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ওষুধের কদর রয়েছে। বিশ্বের প্রায় দেড়শ দেশে রপ্তানি হয় বাংলাদেশের ওষুধ।
 

Bootstrap Image Preview