সম্ভবত হাতিদের ধরে নেওয়ার জন্য ফাঁদ হিসাবে রাখা হয় ফলটি সেই ফাঁদে পরে গেলো ১৫ বছর বয়সের গর্ভবতী হাতি। কেরলের সাইলেন্ট ভেলি ন্যাশনাল পার্ক এর একটি ১৫ বছরের অন্তঃসত্ত্বা হাতি মাল্লাম্পুরাম এর একটি গ্রামের কাছে চলে আসে খাবারের সন্ধানে। সেখানে একটা আনারস খেতে দেওয়া হয় তাকে এবং সেটি খেয়ে নেয় সে। আনারসটির ভেতর বাজি ভর্তি ছিল। খাওয়া মাত্রই বাজি গুলো তার মুখে ফেটে যায়। রক্তাক্ত হয়ে যায় সারা মুখ।
তবুও নিজের সন্তানের কথা ভেবে সেই রক্তাক্ত শরীর নিয়েই ছুটে বেড়ায় সারা গ্রাম একটু খাবারের খোঁজে। শেষ অবধি সে খাবার পায়নি আঘাত ও করেনি কোনো গ্রামবাসী কে, ভাঙেনি কোনো ঘর। সোজা চলে এসে মাঝ নদীতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। বহু চেষ্টাতেও তাকে সরানো যায়নি সেখান থেকে।
নীলামপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহনন কৃষ্ণন বললেন, “ডাক্তার যখন হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন তখন তিনি বলেন যে হাতিটি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। কাঁপা গলায় আরও জানান যে হাতিটির মধ্যে একটা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কাজ করেছিল। সে জানতো তার মৃত্যু আসন্ন। শুঁড় সহ গোটা শরীর রক্তময়, যন্ত্রণায় জ্বলছিল সারা দেহ। এই অবস্থায় সে তার সন্তানের কথা ভেবে চলে যায় নদীর মাঝে জলের মধ্যে যাতে সেই রক্তাক্ত জায়গায় পোকা-মাকড় না বসে। যতক্ষণ প্রাণ ছিল সে চেষ্টা করেছিল যাতে তার সন্তানের কষ্ট একটু হলেও কম হয়। আর শেষ অবধি সে ওই মাঝ নদীতেই প্রাণ ত্যাগ করে। "