Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মুখে মাস্ক পরে করা যাবে ঈদের শপিং !

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মে ২০২০, ০৯:৫৮ PM
আপডেট: ০৫ মে ২০২০, ০৯:৫৮ PM

bdmorning Image Preview


আগামী ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মুখে মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকান-শপিংমলে প্রবেশ করতে পারবে না। বিক্রেতাদেরও মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মে) মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

কীভাবে এগুলো পরিচালিত হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক এবং আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার, ফেরিওয়ালা ও অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেয়া যাবে না।

প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরা ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। সব দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি শপিংমল ও বিপণি-বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুঝুঁকি আছে’ সংবলিত ব্যানার টানাতে হবে।’

এছাড়া আন্তজেলা, আন্তউপজেলা যোগাযোগ বা জনগণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ এক উপজেলার লোক অন্য উপজেলায় এবং এক জেলার লোক অন্য জেলায় চলাচল করতে পারবে না।

সেই সঙ্গে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাইরে বের হওয়া যাবে না। আগের মতো জরুরি পরিষেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যসামগ্রী, রফতানি সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি পরিবহন কাজে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আসন্ন ঈদের ছুটিতে সবাইকে নিজ নিজ এলাকা বা কর্মস্থলে থাকতে হবে এবং আন্তজেলা, উপজেল ও বাড়িতে যাওয়া যাবে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা শহরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা আলোচনা করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রয়োজন অনুযায়ী জোন ভাগ করে দেবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview