Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৃত্যুবরণকারী ডাক্তার, সাংবাদিক ও পুলিশের পাশে এমপি একরাম

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ মে ২০২০, ০৯:৪৪ PM
আপডেট: ০২ মে ২০২০, ০৯:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


করোনা যুদ্ধে শহীদ হওয়া চিকিৎসক ডা. মো. মঈন উদ্দিন, সাংবাদিক হুমায়ন কবির খোকন ও পুলিশ কন্সস্টেবল জসিম উদ্দিনের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে এমন তথ্য জানান একরামুল চৌধুরী নিজেই।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বেশ প্রশান্তি নিয়ে লাইভে এসেছি। কারণ করোনা যুদ্ধে শহীদ হওয়া চিকিৎসক ডা. মো. মঈন উদ্দিনের পরিবারের অনুমতি ক্রমে আমার কথা দেওয়া দুই লক্ষ টাকা স্বাচীপের মাধ্যমে তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি ঢাকাতে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক খোকনের জন্য আমার জেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ও পুলিশ কনস্টেবল জসিমের পরিবারের জন্য নোয়াখালীর এসপির মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আর নোয়াখালীতে করোনা পরীক্ষা করার জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘একরাম চৌধুরি ফাউন্ডেশন’ থেকে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেছি। এখন করোনা মহামারিতে আমার জনগণ কষ্টে থাকবে এটা আমি বেঁচে থাকতে হতে দিবো না ইনশাল্লাহ। তার লক্ষেই ১৫ রোজার পর আবারো বড় একটি অনুদান দিবো আমি।

এসময় নিজের এলাকার বিত্তবানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার নোয়াখালীতে অনেক বিত্তবান মানুষ রয়েছেন। কিন্তু এই দূর্যোগে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। আমি অনুরোধ করবো মানুষের এই বিপদে পাশে থাকেন। এই সম্পদ আপনার কাজে আসবে না। মনে রাখবেন আমাদের সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। আকুল আবেদন জানাচ্ছি এই করোনা ভাইরাসের সময় জনগণকে সচেতন করে তাদের সুখ-দু:খের সাথী হয়ে থাকুন। পরিশেষে তিনি করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদেরকে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রন রাখার অনুরোধ করেন। তবে এর ব্যতিক্রম ঘটলে প্রশাসন যথাযত ব্যবস্থা নিবে বলেও হুশিয়ার করেন।

এদিকে এর আগে নোয়াখালীর হত-দরিদ্র মানুষের জন্য ‘একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশন’ গঠন করেন এমপি একরাম। সেখানে ৫০ লাখ টাকা অনুদানও দেন তিনি। এছাড়া সরকারের পাশাপাশি নিজের অর্থায়নে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালী জেলার ৬০-৭০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করেন।

Bootstrap Image Preview