করোনাভাইরাসের কারনে ঘরবন্দি সময়টাতে কী করছেন তারকারা? খানিকটা বুঝা যাবে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার এই লেখায়।
বাবার মৃত্যুর পর আমি আর মা—দুজনের সংসার। দুজনেরই ডায়াবেটিস। মায়ের ৬০ ঊর্ধ্ব বয়স, হার্টেরও সমস্যা আছে। তাই মাকে নিয়েই চিন্তা বেশি। বাবা মারা গিয়েছিলেন চিকুনগুনিয়ায়, করোনার সময়ে তাই মাকে নিয়ে বড্ড ভয়। মা অবশ্য বেশ সাবধান। বাসা থেকে একদমই বের হই না। ১৮ মার্চ ড্রাইভার ও আয়া বেতনসহ ছুটিতে। মায়ের একজন তত্ত্বাবধায়ক আছেন, তিনি নিয়ম-কানুন মেনেই দেখভাল করছেন।
ঘরে থেকে সারাক্ষণ মাকে অনেক জ্বালাই। এটা সেটা খেতে চাই, মা সেসব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। মা আর আমি নিয়মিত একসঙ্গে নামাজ পড়ি, প্রতিদিন একটু একটু করে কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করি। ঈদের আগে খতম করার চেষ্টা করব। শেষবার মনে হয় ক্লাস টেনে কোরআন খতম দিয়েছিলাম। এই জন্য মা আমার ওপর ভীষণ খুশি।
আমি রান্না একদমই পারতাম না। এই কয়েক দিনে অনেক রান্না শিখেছি। বিভিন্ন রকমের কেক বানাচ্ছি, মায়ের হাতে যেসব রান্না পছন্দ তা শিখে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া কস্টিউম গুছিয়ে রাখছি, যেগুলো পরব না, আলাদা করে ফেলছি! কাগজ-পেনসিল দিয়ে কস্টিউমের ডিজাইন আঁকছি! ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাসায় নিয়মিত যোগব্যায়াম করছি।