যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এ একদিনে ১০ বাংলাদেশিসহ মোট ১৭০ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
দেশটিতে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হতে হতে এরই মধ্যে ৪০ হাজার পার হয়ে গেল। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে ৪০ হাজার ২২৭জন। এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্কেই মারা গেছেন প্রায় ১৭ হাজারের বেশি মানুষ।
অঙ্গরাজ্যটিতে ২ লাখ ৪১ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন। পুরো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭(৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪৭ জন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ। তাদের অভিযোগ বাসায় থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। দ্রুত লকডাউন তুলে নেয়ার দাবিও জানান তারা। এরমধ্যেই, ধীরে ধীরে অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ১০৯ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। পুরো যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৭ জন। মারা গেছেন ১৫ হাজার ৪৬৪ জন। সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৩৪৪জন।
এদিকে বাংলাদেশে আটকে পড়া নিজ দেশের নাগরিকদের (বাংলাদেশি বংশোদ্ভুদ) ফিরিয়ে নিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ৪টি ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় ডিকসন বলেন, প্রথম ফ্লাইটটি মঙ্গলবার ঢাকা ছেড়ে যাবে। এরপর ২৩, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল আরও তিনটি ফ্লাইট যাবে। যেহেতু বাংলাদেশ ভ্রমণকারী ব্রিটিশদের একটি বড় অংশ সিলেটে থাকেন। তাই যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট ধরার জন্য শাটল ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় আনা হবে।
ওই চারটি ফ্লাইটে সাড়ে ৮০০ জন বাংলাদেশি যুক্তরাজ্য ফিরবেন বলে দেশটির সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। ঢাকা কিংবা সিলেট দুই জায়গা থেকেই যুক্তরাজ্যে যেতে ৬০০ পাউন্ড করে বিমান ভাড়া দিতে হবে।
রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৬ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও প্রাণ গেছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৭ জনের। দুর্ভাগ্যক্রমে, এ সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে প্রতিনিয়তই বাড়ছে।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যেসব দেশে:
যুক্তরাষ্ট্র: ৪০ হাজার ২২৭ জন।।
ইতালি: ২৩ হাজার ২২৭ জন।
স্পেন: ২০ হাজার ৬৩৯ জন।
ফ্রান্স: ১৯ হাজার ৩২৩ জন।
যুক্তরাজ্য: ১৫ হাজার ৪৬৫ জন।
বেলজিয়াম: ৫ হাজার ৪৫৩ জন।
ইরান: ৫ হাজার ৩১ জন।
চীন: ৪ হাজার ৬৩২ জন।
জার্মানি: ৪ হাজার ৫৩৮ জন।
নেদারল্যান্ডস: ৩ হাজার ৬০১ জন।