ইরানকে যে করেই হোক রুখতে চায় ইসরায়েল। এজন্য সেনাবাহিনীর নতুন একটি ইউনিট চালুর সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইরানবিরোধী নীতিকে গুরুত্ব দিয়েই এই ইউনিট চালু হচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের বরাত দিয়ে মাইক্রোসফট নিউজ জানায়, ইরানকে রুখতে সেনাবাহিনীর নতুন একটি ইউনিট চালুর পরিকল্পনা করেছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোচাভি। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এই পরিকল্পনা তিনি অন্য কমান্ডারদের সামনে উপস্থাপন করেন।
সেনাবাহিনীর নতুন এই ইউনিট গঠনের অনুমোদন এখনো মন্ত্রিপরিষদ থেকে আসেনি। তবে জেনারেল আভিভ কোচাভির এই পরিকল্পনা সমর্থন করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত। অবশেষে বেনেত সেটি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে উপস্থাপন করেন। তবে নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া কী তা এখনো জানানো হয়নি।
জানা গেছে, ইরানকে রুখতে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর নতুন এই ইউনিটের নাম হবে ‘ইরান কমান্ড’। এটির নেতৃত্বে থাকবেন একজন মেজর জেনারেল। এই ইউনিট নিজেদের সব শক্তি ব্যবহার করে হামলার সক্ষমতা বাড়াবে এবং ইরান সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে কাজ করবে।
ইরান কমান্ডের একটি পদাতিক বাহিনীও থাকবে, যাদের অত্যন্ত দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। শত্রুর অঞ্চলে প্রবেশ করে কীভাবে হামলা চালাতে হয় সেটিও শেখানো হবে তাদের। ইরান কমান্ডকে অত্যাধুনিক সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করবে দেশটির কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ইসরায়েলের সব সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
ইসরায়েল মনে করছে, ইরান ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। শক্তিমত্তার দিক থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে আগে যে একটি ফারাক ছিল সেটি এখন আর নেই বলে মনে করছে তেল আবিব কর্তৃপক্ষ। এ কারণেই সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নিল তারা।