Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আজ পহেলা ফাল্গুন, আজ বসন্ত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৯:৫৪ AM
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৯:৫৪ AM

bdmorning Image Preview


‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।/তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/কোরো না বিড়ম্বিত তারে।’—এভাবেই ঋতুরাজ বসন্তের বন্দনা করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বসন্ত উপলব্ধি করেছেন এভাবে—‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক/আজ বসন্ত।’ হ্যাঁ, গাছের শাখার শাখায় রঙিন ফুলের পসরা সাজিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে মলিন পাতার রাশি, আজ সোমবার আবার এলো পহেলা ফাল্গুন, আজ বসন্তের প্রথম দিন।

বসন্ত মানেই নতুন সাজে প্রকৃতি মুখরিত হওয়ার দিন। ফুল ফোটার পুলকিত সময়। শীতের জরাগ্রস্ততা কাটিয়ে নতুন পাতায় ঋদ্ধ হয়ে উঠবে রুক্ষ প্রকৃতি। ফাগুনের ঝিরঝিরে বাতাসে কোকিলের মিষ্টি কলতানে উন্মাতাল হবে প্রকৃতি। ফুলেল বসন্ত যৌবনের উদ্দামতা বয়ে আনে। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসমুখরতায় মন-প্রাণ ভরিয়ে তোলে।

প্রকৃতির মতোই শিল্প-সাহিত্য এমনকি রাজনীতিতেও বসন্ত  বাঙালি জীবনে তাৎপর্যময়। এ বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। বসন্তেই বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের শুরু। বসন্তের আগমনবার্তা নিয়ে আসে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ ও ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’।

কচি পাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালির মনেও লাগে বসন্তের দোলা। উৎসবে মেতে ওঠে নগরবাসী। ফুলের মঞ্জরিতে মালা গাঁথার দিন বসন্ত শুধু প্রকৃতিকেই রঙিন করেনি, আবহমানকাল ধরে বাঙালি তরুণ-তরুণীর প্রাণও রঙিন করেছে। তাই আজ পহেলা ফাল্গুনের সুরেলা এ দিনে তরুণীরা খোঁপায় গাঁদা-পলাশ ফুলের মালা গুঁজে বাসন্তী রং শাড়ি পরবে আর ছেলেরা পাঞ্জাবি-পায়জামা কিংবা ফতুয়ায় খুঁজে নেবে শাশ্বত বাঙালিপনা।

রাজধানীতে ১৪০১ বঙ্গাব্দে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদ্‌যাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। রাজধানীতে এ বছরের বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানমালা আরো ব্যাপকতা লাভ করেছে।

কর্মসূচি : পহেলা ফাল্গুনে আজ রাজধানীতে রয়েছে ব্যাপক আয়োজন। চারটি স্থানে আয়োজন করা হয়েছে ‘বসন্ত উৎসব’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় দিনব্যাপী এবং ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ, লক্ষ্মীবাজারের বাহাদুর শাহ পার্ক ও উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে বিকেল থেকে রাত অবধি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে যন্ত্রসংগীত, বসন্তকথন পর্ব, প্রীতিবন্ধনী, আবির বিনিময়, একক আবৃত্তি, দলীয় আবৃত্তি, একক সংগীত, দলীয় সংগীত, দলীয় নৃত্য, আদিবাসীদের ও শিশু-কিশোরদের বিশেষ পরিবেশনা থাকবে। দেশের অগ্রগণ্য দল ও বরেণ্য শিল্পীরা অনুষ্ঠানমালায় অংশ নেবেন। চারুকলার সকাল ও বিকেলের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশ টিভি। রবীন্দ্রসরোবরের অনুষ্ঠানটি বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচার করবে এনটিভি।

শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী ‘বসন্ত উৎসব’। একাডেমি প্রাঙ্গণে নন্দনমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় থাকবে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৫টায়।

Bootstrap Image Preview