কেউ বলছেন জিন-ভূতের কারসাজি। কেউ বলছেন পুকুরের পানিতে অলৌকিক দেবদেবতা ভর করেছে। এ নিয়ে চলছে নানা মন্তব্য। শুধু তাই নয়, দৃশ্য দেখে পুকুরের পাড়ে হিন্দু পরিবারসহ বিভিন্ন মহিলারা দুধ, কলা, মোমবাতি ও আগরবাতি মানত দিচ্ছেন।
অনেকেই বালতি-বোতলে পানি সংগ্রহ করে রোগবালাইয়ের মুক্তি কামনা করে পান করছে। তবে আসলে বস্তুটি কি তার বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোনো আধ্যাতিক বস্তু নয় এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ।
সাটুরিয়ায় পুকুরের পানিতে বাঘ-হাতি-ঘোড়া দেখতে পাওয়ার খবরে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। পানি থেকে উঠে আসা এ সব বাঘ-হাতির গুজবে হাজারো উৎসুক জনতার ভিড় লেগেছে। রঙ্গীন এ সব প্রাণীর দৃশ্য দেখতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিশু ও নারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে পুকুর পাড়ে।
আজব এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নে পশ্চিম কুষ্টিয়া ইদগাহ মাঠের পুকুরে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া এলাকার মসজিদের একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ১৫-২০ মিনিট পর পর পানির নিচ থেকে রক্তিম একটি ফোটা উঠছে। সিঁদুরের মতো দেখতে ওই ফোটা পানির উপরে ভেসে উঠে তা জীবন্ত অক্টোপাসের মতো নড়াচড়া করছে।
কখনও তারার মতো, কখনও টিকটিকির মতো নড়াচড়া করে ১-২ মিনিটেই পানির সঙ্গে মিলিয়ে যাচ্ছে। এ আজব দৃশ্য জানতে গেলে প্রচণ্ড ভিড়ে হিমিশিম খেতে হয় প্রতিনিধিকে।
এ দিকে পানিতে ভেসে উঠা ওই রক্তিম ফোটা হাতে নিয়ে পালানোর সময় আ. সালাম নামের এক যুবককে পিটিয়েছে স্থানীয়রা। আটক করে রাখার পরও ফের পানি থেকে ফোটা উঠতে দেখে পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পানিতে ভেসে উঠা ওই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয় স্থানীয় যুবকরা। ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পুকুর পাড়ে উৎসুক জনতার ভিড় বেড়েই চলছে। বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকান বসেছে পুকুর পাড়ে।
এ ব্যপারে স্থানীয় সবুজ বলেন, দুদিন থেকে গ্রামের প্রায় প্রতি পরিবারে প্রচুর আত্মীয়-স্বজনদের ভিড় পড়েছে। বিশেষ করে নারীদের উপস্থিতি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে সাটৃরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আসলে বিষয়টি কেমিক্যাল রংয়ের ফোটা পানির নিচ থেকে উপরে ভেসে উঠে একটা দৃশ্যে পরিণত হচ্ছিল। বিভ্রান্তি এড়াতে লোকজন দিয়ে তা সরানো হয়েছে।