বাবার দোকানসহ বাজারে লেগেছিল আগুন। সেখানে আটকে পড়ে দুই ভাই জাহিদ হাসান (১৭) ও নাঈমুল হাসান (১৫)। বড় ভাই বের হতে পারলেও নাঈমুলকে রক্ষা করা যায়নি। দোকানের ভেতরে পুড়ে কংকাল হয়েছে কিশোর শরীর। মর্মান্তিক এ ঘটনা কুমিল্লার লাকসামে। মঙ্গলবার রাত বারোটার দিকে উপজেলার নৈরপাড় টাওয়ার সংলগ্ন বাজারে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হওয়ার পাশপাশি মৃত্যু হয় নাঈমুল নামে স্কুলছাত্রের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাঈমুল রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুরাদ হাসানের ছেলে। লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের নৈরপাড় টাওয়ার সংলগ্ন বাজারে মুরাদের একটি দোকান রয়েছে। আলম ষ্টোর নামের এ দোকানে মঙ্গলবার রাত পৌনে বারোটার দিকে আগুন ধরে। এসময় দোকানটিতে অবস্থান করছিল মুরাদের দুই ছেলে জাহিদ ও নাঈমুল। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতেই জাহিদ দোকান থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু নাঈম সেখানে আটকা পড়ে থাকে। আগুনে দ্রুত বাজারের অন্য দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তা নেভানোর চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে লাকসাম ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভয়াবহ এ আগুনে মুরাদের মালিকানাধীন আলম ভ্যারাইটিজ ষ্টোর, আবদুল মালেকের মুদি ও চা দোকান, আবদুর রবের সবজি দোকান, সোহাগের লেপ-তোষকের দোকান, আবদুর রহিম ও নুর ইসলামের ফলের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন নেভার পর নাঈমের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নাঈম স্থানীয় কামড্যা শহীদ আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। বাজারের এ আগুনে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ' মর্মান্তিক এ ঘটনায় আমরা গভীর শোকাহত। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।'