Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘পৃথিবীর ৬০-৮০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৬:১৩ PM
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৬:১৩ PM

bdmorning Image Preview


বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যেই সেই আতঙ্ক আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে ঘুম হারাম করে দেওয়ার মতো তথ্য জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১শ ছাড়িয়ে গেছে। আর এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরও ৯৯ ভাগই চীনের নাগরিক।

তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাকি যে ১ ভাগ আক্রান্ত আছে তাতেই লুকিয়ে মূল আতঙ্ক। কারণ তারা চীনের বাইরে রয়েছেন এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন। প্রতিনিয়ত তাদের থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে অন্যের শরীরে। এভাবেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে আগামী দিনে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে!

এই আশঙ্কার কথা যিনি প্রকাশ করেছেন সেই গ্যাব্রিয়েল লিউং হংকং-এর প্রথম সারির একজন গবেষক। সার্সের প্রকোপের সময় যে গবেষকেরা এই ভাইরাসের উপর কাজ করেছিলেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। জেনেভায় একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাৎকারে এমনই আশঙ্কার কথা বলেন তিনি।

তার কথায়, ‘সাধারণভাবে যদি ধরা যায় এক জন আক্রান্তের শরীর থেকে এই ভাইরাস গড়ে দুইয়ের বেশি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে, তা হলেই বোঝা যাবে আক্রান্তের সংখ্যা কতটা বিপুল হতে পারে। বিশ্বের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’

এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার সার্সের থেকে অনেক কম, মাত্র এক শতাংশ। কিন্তু নভেল করোনা ভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে। ফলে ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। এই প্রসঙ্গেই গ্যাব্রিয়েলের বক্তব্য, ‘মৃত্যুর হার কম হলেও আক্রান্তের সংখ্যা যদি এত বিপুল হয় তা হলে মৃতের সংখ্যা বিপুল হতে পারে। এটাই আতঙ্কের মূল কারণ।’

এমনটা যে হতে পারে সে আশঙ্কা অবশ্য গ্যাব্রিয়েল জানুয়ারি মাসেই প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভাইরাস তো শুধু উহানে বন্দি নেই, বেইজিং-সহ চীনের অন্য বড় শহরগুলিতেও ছড়িয়েছে। এখানে বিপুল সংখ্যায় বিদেশিদের আনাগোনা। আর ভাইরাস যাঁদের শরীরে ঢুকে গেছে, তাঁদের লক্ষণ এখন বোঝাও যাবে না। যত দিনে তা বোঝা যাবে ততদিনে এই ভাইরাস আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে।’ কিছু দিন যেতেই মিলে গেল তার সেই ভবিষ্যদ্বাণী। একে একে অন্য দেশ থেকেও ভাইরাসে আক্রান্তের খবর আসতে লাগল।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Bootstrap Image Preview