Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, চেয়ারম্যানসহ ৫ সঙ্গী কারাগারে

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০১:২৯ PM
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০১:২৯ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীতে ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতির মামলায় আ’লীগ নেতা চেয়ারম্যানসহ ৪ সাঙ্গপাঙ্গের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,  নোয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর কাশেমের দোকান পোড়ানোর অভিযোগে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এ আদেশ দেয়।

আসামীরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নং চরমটুয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আলম, ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম, চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মোরশেদ আলম, চেয়ারম্যানের অনুগত বাদশাহ মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য ও নিজের প্রভাব বিস্তার করতে বিগত বছরের ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত নিজ সীমান্তবর্তী আরেক ইউনিয়নের (২০ নং আন্ডারচরের) বাসিন্দা আবুল কাশেমের একটি মার্কেটে লুটপাট ও অগ্নিকান্ড চালায় চেয়ারম্যান।

এতে আবুল কাশেমের ৩টি কনফেকশনারী, ১টি ফার্মেসী ও মুদি দোকানসহ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে উল্টো সুধারাম মডেল থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করে চেয়ারম্যান নুরুল আলম। পরে আবুল কাশেম বাদী হয়ে নুরুলকে প্রধান আসামী করে মোট ১৬ জন সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে দোকানে অগ্নিকান্ড ও লুটপাটের মামলা করেন নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। মামলার উচ্চতর তদন্তে জন্য আদালত পিবিআইকে (ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো অব পুলিশ) দায়িত্ব দেয়।

পরে পিবিআই তদন্ত শেষে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ মর্মে আবুল কাশেমের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার ৯ মাস পর গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Bootstrap Image Preview