Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাত্র এক দিনের বেতন ৮৬ লাখ টাকা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৫:৩৬ PM
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৫:৩৬ PM

bdmorning Image Preview


তাঁর নাম টোমাস কেমারিশ। মাত্র এক দিন তিনি জার্মানির টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তারপর প্রবল সমালোচনার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে এই এক দিনের কাজের জন্য তিনি ৯৩ হাজার চার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৮৬ লাখ টাকা) পেতে পারেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ‘রিডাকসিয়ুন্স নেটৎসভ্যার্ক ডয়েচলান্ড’ বা আরএনডি।

এক প্রতিবেদনে আরএনডি জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এক দিন কাজ করলেও তিনি পুরো মাসের বেতন পাবেন, যা ১৬ হাজার ৬১৭ ইউরো। সঙ্গে যোগ হবে কাজের ভাতা ৭৬৬ ইউরো। আর যেহেতু তিনি বিবাহিত, তাই পরিবার ভাতা হিসেবে পাবেন ১৫৩ ইউরো। অর্থাৎ তাঁর এক মাসের বেতন হচ্ছে ১৭ হাজার ৫৩৬ ইউরো।

আরএনডি বলছে, টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের আইন অনুযায়ী, কেমারিশ ছয় মাসের জন্য চাকরি পরিবর্তনকালীন ভাতাও পাবেন। এই সময় প্রথম তিন মাস তিনি মাসিক বেতনের পুরোটা, আর পরের তিন মাস অর্ধেক করে পাবেন। সব মিলিয়ে কেমারিশ ৯৩ হাজার চার ইউরো পাবেন।

ইসলাম ও অভিবাসন বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত এএফডি দলের সমর্থন নিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন কেমারিশ। তারপর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। কারণ জার্মানির দলগুলো কখনো এএফডিকে সমর্থন করবে না, কিংবা তাদের সমর্থন নেবে না বলে অতীতে জানিয়েছিল। কিন্তু বুধবার দেখা যায়, টুরিঙ্গিয়ার মুখমন্ত্রী নির্বাচনের সময় এএফডির ভোটারদের সহায়তা নিয়ে জয়ী হন ব্যবসাবান্ধব দল বলে পরিচিত এফডিপির রাজনীতিক কেমারিশ।

অনেকে কেমারিশের নির্বাচিত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে নাৎসি আমলের শুরুর দিকের ঘটনার মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। কারণ গত শতকের ত্রিশের দশকে আডলফ হিটলার চ্যান্সেলর হওয়ার আগে এই টুরিঙ্গিয়া রাজ্যেই নাৎসি দল প্রথম সরকার পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিল। কেমারিশের নির্বাচিত হওয়ার পেছনে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের সিডিইউ দলেরও সহায়তা ছিল অর্থাৎ এএফডির পাশাপাশি মার্কেলের দলের ভোটারদেরও সহায়তা পেয়েছেন তিনি।

তবে এএফডির সঙ্গে হাত মেলানোয় সিডিইউ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষুব্ধ হন মার্কেল। বৃহস্পতিবার তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে দলের ‘নীতি ও মূল্যবোধ’ ভুলে যাওয়ার অভিযোগ আনেন। সেই সঙ্গে কেমারিশের নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্রের জন্য খারাপ দিন’ আখ্যায়িত করে ফল উল্টে দেওয়ারও আহ্বান জানান জার্মান চ্যান্সেলর। এরপর বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন কেমারিশ।

সূত্র : ডয়চে ভেলে।

Bootstrap Image Preview