শাহিনবাগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতেই পাল্টা আক্রমণের শিকার হলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। লোকসভায় জবাবি ভাষণে তখন সিএএ, রাম মন্দির, তিন তালাক প্রথা, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ-সহ নানা ইস্যু তুলে কেন্দ্রের গুণগানে মত্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখন হঠাৎ সৌগত রায় বলেন, “তা হলে শাহিনবাগে গুলি চালানোর কথা যারা বলছে, তা ঠিক?’
সৌগত রায়কে আক্রমণ করে মোদী পাল্টা বলেন, ‘বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত ও পীড়িতরা এখানে বসে রয়েছেন। তাঁরা যদি আপনাদের কাণ্ড কারখানার কথা বলতে শুরু করেন, তা হলে অস্বস্তির শেষ থাকবে না। কী ভাবে নিরীহ লোকেদের ধরে ধরে মারা হচ্ছে সবাই জানে৷ বাংলায় নির্দোষরা খুন হচ্ছেন৷ পর্দাফাঁস করলে বিপদে পড়বেন৷”এরপর অবশ্য সৌগত আর কথা বাড়াননি৷
এদিন সংসদের ভাষণে মোদী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য কেউ দেশ ভাগ করেছিলেন। ভারতের মানচিত্রের উপর দিয়ে লাইন টানা হয়েছিল। দেশভাগের জন্য হিন্দু, শিখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপরে কল্পনাতীত নির্যাতন হয়েছে।’ শুধু তাই নয়, সিএএ নিয়ে বিরোধীদের বিঁধতে নেহরুর চিঠি পড়ে শোনান তিনি।
যেখানে লেখা, ‘হিন্দু শরণার্থী ও মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর ফারাক করতে হবে আপনাকে। নির্যাতিতরা ভারতে আসছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আইন অনুকূলে না হলে তা বদলাতে হবে।’ মোদীর নিশানায় যে ছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু, তা বুঝেই কংগ্রেস সাংসদরা হট্টগোল শুরু করে দেন।
জম্মু কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে একটা সন্ত্রাস কবলিত এলাকা। আমরা এসে শান্ত করে দিয়েছি। কাশ্মীরে বন্ধ হয়েছে সন্ত্রাসবাদ। সারা দেশের সঙ্গে কাশ্মীরও আজ নতুন পথের দিশারী।’ এখানেই শেষ নয়, জোরের সঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোটা দেশ আজ নতুন ভারত দেখছে।
যদিও প্রধামন্ত্রীর ভাষণ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, “কিছুই কাজের কথা শুনলাম না। যেমন রূপকথার গল্প বলেন, তেমনই বললেন। আর সংবিধান সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের সঙ্গে কথা শোনা মানে সেটাই সবচেয়ে বড় রূপকথা।