Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

উন্নত দেশগুলোতে ১৫০ কন্টেইনার প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১১:০০ AM
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১১:০০ AM

bdmorning Image Preview


ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ তাদের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে থাকে। এটা রীতিমতো ওই দেশগুলোর বাজে অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে রিসাইক্লিংয়ের (পুনর্ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা) কাজ খুব সস্তায় করা যায় বলেই এমন অভ্যাস হয়েছে তাদের।

আইএফএল সায়েন্স নামের একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমাদের এই রীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে মালয়েশিয়া। তারা অবৈধভাবে আসা প্লাস্টিক ১৫০টি কন্টেইনারে করে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে। যেসব দেশে এসব বর্জ্য ফেরত পাঠানো হয়েছে সেগুলোর তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্রও।

২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৫০টি কন্টেইনারে করে অন্তত ৩ হাজার ৭৩৭ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। এসব বর্জ্য পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় আসে।

ফেরত পাঠানো বর্জ্যের মধ্যে ফ্রান্সে ৪৩টি, যুক্তরাজ্যে ৪২টি, যুক্তরাষ্ট্রে ১৭টি ও কানাডায় ১১টি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্পেন, হংকং, সিঙ্গাপুর ও জাপানেও কিছু বর্জ্য ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।

মালয়েশিয়ার বিজ্ঞান ও পরিবেশমন্ত্রী ইয়ো বি ইন জানান, ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে বর্জ্যভর্তি আরও ১১০টি কন্টেইনার বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই যাবে ৬০টি কন্টেইনার। এ সম্পর্কে ইয়ো বি ইন বলেন, আমরা পৃথিবীর আবর্জনার ভাগাড় হতে চাই না।

মালয়েশিয়ার পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও পূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ গত বছর থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠিয়ে আসছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপটি নেয় চীন। ২০১৮ সালে বেশিরভাগ প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে তারা। তখন এ ধরনের বর্জ্য আমদানিতে শীর্ষে ছিল দেশটি, যার মোট পরিমাণ ছিল বিশ্ববাজারের ৫৬ শতাংশ।

Bootstrap Image Preview