সাধারণ ফুলের ব্যবসায়ী সাঈদ মালিক বুরহান। আয়-রোজগার দিয়ে কোনো মতে দিন চলে। এরই মধ্যে বাড়ির লোক অসুস্থ হওয়ায় টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন তিনি।
এ সময় তার বাড়িতে হাজির ব্যাংক অফিসাররা। কোনো সাহায্য দিতে নয়, তারা জানতে এসেছেন, ফুল ব্যবসায়ীর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি টাকা কোথা থেকে এলো।
ভারতের কর্নাটক রাজ্যের চান্নাপাটনা শহরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর ওই ফুল ব্যবসায়ীর বাড়িতে ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত হন। তারা জানান, বুরহানের স্ত্রী রেহানার অ্যাকাউন্টে বড় অংকের টাকা জমা পড়েছে। এই টাকার উৎস জানতে চান তারা।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন বুরহান। টাকার নিয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। পরে স্ত্রীকে নিয়ে দু’জনের আধার কার্ডসহ ব্যাংকে দেখা করতে বলেন তারা।
বুরহান জানান, ব্যাংকে গেলে সেখানকার কর্মীরা তাদের ওপর মানসিক চাপ তৈরির চেষ্টা করে। এমনকি ব্যাংক কর্মচারীরা চাইছিলেন একটি নথিতে সই করিয়ে নিতে। কিন্তু এমন কোনো নথিতে সই করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
বুরহান জানান, কিছুদিন আগে বুরহান অনলাইনে একটি শাড়ি কেনেন। তারপর তার কাছে একটি ফোন আসে। অন্য প্রান্তে থেকে বলা হয়, তিনি একটি গাড়ি জিতেছেন। তার ব্যাংক ডিটেইলস লাগবে। তাই ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নম্বর দেন তিনি। তারপরই সম্ভবত তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে এই ৩০ কোটি টাকা জমা পড়ে। কোথা থেকে এল এই টাকা, জানার জন্য তারাও নানান চেষ্টা করেন কিন্তু বুঝতে পারেন না।
বুরহান আয়কর দপ্তরে একটি অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তার দাবি সেই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে বিশেষ কোনো তদন্ত করেনি আয়কর দপ্তর। পরে জানুয়ারিতে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চান্নাপাটনা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
চান্নাপাটনা থানার এক কর্মকর্তা জানান, বুরহানের স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এমন অনেক লেনদেন হয়েছে। কিন্তু এ সম্পর্কে তিনি হয়তো কিছুই জানেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, এ সব লেনদেনের পেছনে কে বা কারা রয়েছেন তা তারা খুঁজে বের করবে।