Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বের হতে পরিবর্তন আসছে কারিকুলামে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৮:১৮ PM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৮:১৮ PM

bdmorning Image Preview


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের অন্যকে পরাজিত করে একধরনের আনন্দ পাওয়ার মনোভাব শিখাচ্ছি। জিপিএ-৫ পাওয়া এবং এক ধরনের অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা গড়ে উঠছে যা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদেরকে এ ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বের করে আনতে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন লার্নিং ফর ইমপ্যাথি বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, পরিবর্তিত কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সবকিছুর পরও ভালো মানুষ হয়ে উঠবে। তবে কারিকুলাম যতই ভাল হোক না কেন শিক্ষকের মান ঠিক না থাকলে এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না। শিক্ষকতা পেশাকে আর ও আকর্ষণীয় করা হবে। শিক্ষকতা পেশা হতে হবে জীবনের ব্রত।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, সমমর্মিতা একটি জীবন সংশ্লিষ্ট বিষয়। সব কিছু অন্যের দৃষ্টিতে দেখা এবং অন্যের মত করে শুনা ও অনুধাবন করা হল সমমর্মিতা। তিনি বলেন সারা বিশ্বে প্রতি আট দিনে সামরিক খাতে যে অর্থ ব্যয় হয় তা দিয়ে শিক্ষার বাহিরে যে সমস্ত শিশু আছে তাদের শিক্ষিত করা সম্ভব। মানুষের জীবন যাপনে ভাষার প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন ভাষা মানুষের জীনকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। আমাদের ভাষায় আমি শব্দের ব্যাবহার বেড়ে গেছে আমরা শব্দটির ব্যাবহার কমে গেছে। তাতে বুঝা যায় যে আমাদের মাঝে সমমর্মিতা কমে গেছে। সমাজের যে অসংগতি আছে তা সমমর্মিতা দ্বারা দূর করা সম্ভব। এখন আমরা এ বিশ্বকে ধ্বংস করে মঙ্গল গ্রহে যাচ্ছি।

শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষাভারে শিক্ষার্থী যেন ভারাক্রান্ত না হয় সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডাক্তার মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview