Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাবনায় অজ্ঞাত রোগে দুই বোনের মৃত্যু, আরও দুই নারী হাসপাতালে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৮:২৯ PM
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৮:২৯ PM

bdmorning Image Preview


অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে পাবনার ফরিদপুরে দুই বোন সাথী খাতুন (১৩) ও বিথি খাতুনের (১১) মৃত্যু হয়েছে। তারা আপন বোন। গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সাথী নিজ বাড়িতে এবং শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিথি পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

তাদের মৃত্যুর বিষয়ে পরিবার বা চিকিৎসকরা সঠিক কোনো কারণ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। মৃত সাথী ও বিথি ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শহীদুল প্রামাণিকের মেয়ে। এদের মধ্যে সাথী খাতুন হাদল সিনিয়র মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এবং বিথি খাতুন গোয়ালগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।

সাথী ও বিথির বাবা শহিদুল প্রামাণিক জানান, ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে তার বড় মেয়ে সাথী খাতুন ও ছোট মেয়ে বিথি খাতুন হঠাৎ বমি করতে থাকে। ১০/১২ বার বমি করার পর ৩১ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেনকে ডাকা হলে তিনি তাদের দেখে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে বলেন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ভোর ৪টায় সাথী খাতুন মারা যায়। পরে বিথিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার বলেন, তার শরীরে রক্ত কম, তাড়াতাড়ি রক্ত দিতে হবে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিথি ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টায় মারা যায়।

এদিকে একই উপসর্গ নিয়ে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন একই গ্রামের প্রতিবেশী ফজলুল হকের স্ত্রী রেশমা খাতুন (৩৫) এবং রেশমার ভাবী আজম প্রামাণিকের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন (৪০)।

তাদের স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুরের দিকে সাথী ও বিথির মতো তারাও বেশ কয়েকবার বমি করতে থাকেন এবং দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে প্রথমে ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সাথী-বিথির আকস্মিক মৃত্যু ও আও দুই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।বিযয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী জানান, দুই বোনের মৃত্যু সংবাদ স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনেছি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সালেহ্ মুহাম্মদ আলী জানান, সম্ভবত খাদ্যে বিষক্রিয়ায় রেশমা ও তছলিমা অসুস্থ হতে পারে। আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এখন তারা সুস্থ হয়ে উঠছে।

Bootstrap Image Preview