Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দামুড়হুদায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১২:২৯ PM
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১২:২৯ PM

bdmorning Image Preview


চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পারকৃষ্ণপুর গ্রামে সাত বছর বয়সী শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠের একটি শিমবাগান থেকে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত সুমাইয়া পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কাঠুরে নাসির উদ্দিনের মেয়ে এবং ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সুমাইয়া স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। পোশাক পাল্টে বাড়ি থেকে সে খেলার জন্য বেরিয়ে পড়ে। বিকেল পর্যন্ত তার দেখা না মেলায় বাড়ির লোকজন খুঁজতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেও সুমাইয়াকে না পেয়ে রাত ৮টার দিকে গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় মাইকিং করা হয়। মাইকিং করেও তার হদিস মেলে না। রাত ৯টার দিকে গ্রামবাসী দল বেঁধে লাইট হাতে মাঠ-ঘাট খোঁজা শুরু করে। 

রাত ১১টার দিকে গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আয়ুব আলীর শিম বাগানে সুমাইয়ার বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী চমকে ওঠে। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে মাঠের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস, ওসি তদন্ত জাহাঙ্গীর আলম, দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান, এসআই জাকির হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেছেন, ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণ শেষে শিশু সুমাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শিগগিরই ধর্ষক পুলিশের জালে ধরা পড়বে।

ময়নাতদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ রোববার সকালে মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস আরও জানান, ঘটনাস্থলে থেকে একটি শ্যাম্পুর প্যাকেট পাওয়া গেছে। এই শ্যাম্পুর প্যাকেটের সূত্র ধরেই ধর্ষক ও হত্যাকারী ধরার জাল বিস্তার করা হয়েছে। 

কাউন্সিলপাড়ার মুদি দোকানি আব্দুল হামিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে বখাটে মমিনুল ইসলাম দোকান থেকে দু প্যাকেট শ্যাম্পু কিনেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল ও পুকুরঘাট থেকে একই ধরণের দুটি শ্যাম্পুর প্যাকেট উদ্ধার করেছে।

Bootstrap Image Preview