Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মহামারী আকারে করোনাভাইরাস, মৃত্যু সংখ্যা লুকাচ্ছে চীন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:৩২ PM
আপডেট: ৩১ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:৩২ PM

bdmorning Image Preview


করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুসংখ্যা লুকানোর অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, সরকারিভাবে যে সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে, সত্যিকার অর্থে সেটা আরও বেশি।

মৃত্যুসংখ্যা আড়াল করতে দ্রুতগতিতে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগে দাবি করা হচ্ছে।উহানের শ্মশানকর্মীরা বলছেন, আনুষ্ঠানিক।তালিকায় নথিভুক্ত না করেই হাসপাতাল থেকে লাশগুলো সরাসরি তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।-খবর মেইল অনলাইনের

শুক্রবার চীন বলছে, এই মহামারীতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ২১৩ জন। কিন্তু শঙ্কা হচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কমিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে। দেশটি সত্যিকার সংখ্যা আড়াল করতে চাচ্ছে বলেই ধারনা করা হচ্ছে।

জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের পূর্ব এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি উইলিয়াম ইয়াং দ্য সানকে বলেন, চীন যে সংখ্যা প্রকাশ করছে, তা নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।তিনি বলেন, যখন ভাইরাসসংশ্লিষ্ট কোনো কোনো বিষয়ে তারা খুবই স্বচ্ছতা বজায় রাখছে, তখন বেশ কয়েকটি বিষয়ে তারা অস্পষ্টতা ও অনির্ভরযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে।

এই সাংবাদিক আরও বলেন, হংকংভিত্তিক নিউজ আউটলেট ইনিটিয়াম শ্মশানকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে। কর্মীরা তাদের জানিয়েছে যে সঠিকভাবে শনাক্তকরণ না করেই মরদেহ তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।কাজেই সেখানে ভাইরাসে মারা যাওয়া বহু মরদেহ সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করেই সরাসরি শ্মশানে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন উইলিয়াম ইয়াং।

ভাইরাসের বিস্তাররোধে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিয়েছে চীন সরকার। উহান ও হুবাই প্রদেশের আশপাশের পাঁচ কোটি লোককে কোয়ারেন্টাইনের ভেতর রাখা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যের সংখ্যা নিয়মিতভাবে বেড়েই চলছে।

শুক্রবার নতুন করে ৪৩জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে। যাদের একজন বাদে বাকি সবাই হুবাইয়ের বাসিন্দা। অধিকাংশ মৃত্যু বয়স্ক লোকদের।চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, নতুন ১৯৮১জন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করা গেছে। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৯২জন।

এর আগে সার্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন আট হাজার ৯৬জন। করোনাভাইরাস সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ২০০২-০৩ সালে সার্স দুই ডজন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। মারা গেছেন সাতশ ৭৪জন।

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য লক্ষণ দেখা দেয়ার শঙ্কায় চীনে এক লাখ ২০ হাজার লোককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ভাইরাসটি বিস্তারের মূলকেন্দ্র ভূমি বলা হচ্ছে উহানকে। সেখানে বুনোপ্রাণীদের থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস বলে ধারনা করা হচ্ছে।

মানুষের ভ্রমণের লাগাম ধরতে দেশটিতে স্কুল বন্ধ ঘোষণা ও চান্দ্র নববর্ষের ছুটি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে উহানকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পর সেখানে কয়েক হাজার বিদেশি আটকা পড়েছেন। কাজেই এসব লোকজনকে ফেরত নিতে দেশগুলোকে ব্যাপক ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে।

ফ্রান্স ইতিমধ্যে তার দুইশ নাগরিককে ফেরত নিয়েছে। তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমোদন দেয়ার আগে সপ্তাহ দুয়েক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।উহান থেকে যাওয়া উত্তর কোরিয়ার ১৮ নাগরিককে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিউলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এমন দাবিই করেছে।

Bootstrap Image Preview