Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায়, ৬ ডিবি সদস্যক বরখাস্ত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০২০, ০৩:০৪ PM
আপডেট: ৩১ জানুয়ারী ২০২০, ০৩:০৪ PM

bdmorning Image Preview


এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ছয় সদস্যকে সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকৃতদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), তিনজন কনস্টেবল এবং একজন ড্রাইভার (কনস্টেবল) রয়েছেন।

ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গত বুধবার ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা পুলিশ পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করলে রাতেই ডিবির অভিযুক্ত সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন সরদার বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিবি সদস্যদের নাম প্রকাশ করেননি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম মো. সোহেল। তিনি জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে ব্যবহারের জন্য দুটি লুঙ্গি কিনে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। সুত্রাপুর থানাধীন লালকুঠির নৌকাঘাটে পৌঁছানো মাত্র হঠাৎ করে পাঁচ-ছয়জন তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। তারা কেরাণীগঞ্জের ডিবির পরিচয় দিয়ে সোহেলকে হাতকড়া পরিয়ে নৌকায় তুলে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে নিয়ে যায়। এরপর কেরানীগঞ্জ আলম মার্কেটের সম্মুখে রাস্তার ওপরে নিয়ে নম্বরপ্লেটবিহীন সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তোলা হয় সোহেলকে। একটি কালো রঙের কাপড় দিয়ে সোহেলের চোখ বেঁধে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় তারা। সেখানে নিয়ে কাটার-প্লাস দিয়ে চেপে সোহেলের হাতের আঙুল ও নখ জখম করা হয় এবং লাঠি দিয়ে বেদম পেটানো হয় তাকে। এক পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে সোহেলের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে তারা। টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর, এমনকি ক্রসফায়ারে ফেলে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়।

এক পর্যায়ে সোহেলের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিপণ দিতে রাজি হন। অপহরণকারীদের কথামতো ওই রাতেই টাকা নিয়ে সোহেলের পরিবার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ মোড়ে যায়। অভিযুক্ত সদস্যরা টাকা নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা বিভিন্ন কাগজে সই নিয়ে সোহেলকে শিখিয়ে দেয়া কথাবার্তা মোবাইলফোনে ভিডিও আকারে ধারণ করে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। পরে তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পুলিশের সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার কালের কণ্ঠকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে ব্যবস্হা নিয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview