Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

লিবিয়া ইস্যুতে এবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ফ্রান্স ও তুরস্ক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০২০, ১০:৫৭ AM
আপডেট: ৩১ জানুয়ারী ২০২০, ১০:৫৭ AM

bdmorning Image Preview


লিবিয়া ইস্যুতে এবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ফ্রান্স ও তুরস্ক। উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় অস্থিতিশীলতার জন্য তুরস্ক ফ্রান্সকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের ব্যর্থতার জন্যই দেশটির সংঘাত নিরসন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) লিবিয়া ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্যারিস ও আঙ্কারা এভাবে পরস্পরকে দায়ী করেছে। এ খবর প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।

লিবিয়ায় চলমান সংঘাত নিরসনে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে গত ১৯ জানুয়ারি বার্লিনে এক সম্মেলন আয়োজন করেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা ম্যার্কেল। ওই সম্মেলনে তুরস্ক ও ফ্রান্সের নেতারা লিবিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধের বিষয়ে একমত হন। এছাড়া জাতিসংঘের নেতৃত্বে লিবিয়ার ঐক্য প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়েও সম্মতি আসে ওই সম্মেলনে।

এরপর বৃহস্পতিবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে এক বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, তুরস্ক বার্লিন সম্মেলনের সিদ্ধান্ত মানছে না। দেশটি কয়েকদিন আগে লিবিয়ায় যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। আমরা বার্লিনে যেসব বিষয়ে সম্মত হয়েছিলাম এটা তার মারাত্মক এবং স্পষ্ট লঙ্ঘন।

অন্যদিকে ম্যাক্রোর মন্তব্যের জবাবে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসোয় এক বিবৃতিতে বলেছেন, লিবিয়া সংকটের জন্য ফ্রান্সই সবচেয়ে বেশি দায়ী। শুরু থেকেই তারা এই সংকট উসকে দেওয়ার মতো কাজ করে আসছে। লিবিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেতে হাফতারকে নিঃশর্ত সমর্থন দিচ্ছে ইউরোপের দেশটি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারের ওপর জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশের সমর্থন রয়েছে। তুরস্কের সমর্থনও এই সরকারের প্রতি।

অন্যদিকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব ও ফ্রান্স

Bootstrap Image Preview