চীনে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা আরো বেড়েছে। নতুন করে ৪২ জনের মৃত্যু হওয়ায় এ পর্যন্ত কেবল দেশটির মূল ভূখণ্ডেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে। আর আক্রান্ত হয়েছে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৬৯২ জন।
আজ শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্বৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, দেশটির হুবেই প্রদেশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, আজ শুক্রবার পর্যন্ত আরো ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে আর ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল উহান প্রদেশেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪ জনে। এ ছাড়া এক লাখ দুই হাজার মানুষ শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার কারণে সম্ভাব্য করোনাভাইরাসের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের ক্রমাগত হুমকির মুখে বৈশ্বিক জরুরি (গ্লোবাল ইমার্জেন্সি) অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ডাব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে বৈশ্বিক এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
এর এক সপ্তাহ আগেও ‘গ্লোবাল ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ডাব্লিউএইচও। তবে এবার বাস্তবেই এ রোগকে সারা বিশ্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে সংস্থাটি। জরুরি অবস্থার ঘোষণায় অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস বলেন, এ ঘোষণার মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
সংস্থার মহাপরিচালক আরো বলেন, এ রোগটিতে নতুন করে চীনে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে একজন থেকে অন্যজনের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা এই বিষয়ে স্পষ্ট উদাহরণ দেখেছি। ফলে সবকিছু পর্যালোচনা করে সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছে।