করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবে চীনে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য সরকার প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, চীন সরকার রাজি হলেই নিজেদের নাগরিকদের দেশে ফেরত আনা হবে। কিন্তু অনেকেই এখন বাংলাদেশে ফিরতে চাচ্ছেন না।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা-সিলেট চার লেন রোড তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চীনে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে বিমানের ফ্লাইট প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। আমাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে চীনা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সপ্তাহ দুই তারা সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখবে। এরপর বিদেশি নাগরিকরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের তালিকা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে দেশে ফিরতে অনেকেই রাজি নন। তারা বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে দেশে ফেরা ঠিক হবে না। কেননা, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে চীন সরকার। এ সময় বাংলাদেশে এলে কী ধরনের চিকিৎসা সেবা পাবেন সেটা নিয়ে তারা চিন্তিত।
চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হলেও তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঢাকা-সিলেট ৪ লেন সড়ক প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট চার লেন সড়কের কাজ শেষ হবে। আগামী ৫০ বছরের মধ্যে যাতে এই রুটে চলাচল করতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা-সিলেট চার লেন সড়ক তৈরি করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ প্রমুখ।