Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে ইসরায়েল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৬:৫৯ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৬:৫৯ PM

bdmorning Image Preview


ইরান ও ইসরায়েল নিয়মিতই একে-অপরকে হুমকি দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তারা যুদ্ধে জড়ালে সংকটে পড়বে ইসরায়েল। যুদ্ধে ইরান বেশ কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হলেও বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে ইসরায়েলের অস্তিত্ব।

মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের এক নিবন্ধে বলা হয়, কাল যদি ইরান কিংবা ইরান সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে হয় তাহলে বড় সমস্যার মুখে পড়বে ইসরায়েল। কারণ, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে প্রতিরক্ষার জন্য যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলো কোনোভাবেই ইরান কিংবা হিজবুল্লাহকে রুখতে পারবে না। ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে তেল আবিব।

ইসরায়েলের দুর্বলতা শুধু উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের এমন ধরনের সরঞ্জাম নেই যেগুলো দিয়ে সিরিয়া কিংবা লেবাননে প্রবেশ করে ইরানকে মোকাবিলা করতে পারবে। ইসরায়েলে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য লেবানন ও সিরিয়ার মাটি ব্যবহার করবে ইরান। অর্থাৎ, এই দুটি দেশ থেকে ইসরায়েলে ছোড়া হবে ইরানের শক্তিশালী সব ক্ষেপণাস্ত্র। অথচ সিরিয়া ও লেবাননে প্রবেশ করে ইরানকে মোকাবিলার সামর্থ্য নেই ইসরায়েলের।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটের বরাত দিয়ে বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিকবাহিনী অস্ত্র ও সরঞ্জাম নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ করেছে। সেখানে দেখা যায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ট্যাংকের সংকট রয়েছে। এছাড়া বাকি যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও শোচনীয়।

ওয়াইনেট বলছে, ওই অঞ্চলের ৫০ শতাংশ সাঁজোয়া যান ব্যবহারের অযোগ্য। প্রয়োজনের তুলনায় অস্ত্র কম আছে ২০ শতাংশ। এছাড়া অন্ধকারে পথ চলার জন্য সেনাদের যেসব সরঞ্জাম থাকার দরকার সেগুলোও নেই।

ওই এলাকায় হামলা হলে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি সামরিকবাহিনীর যে ইউনিট যাবে, সমস্যা পাওয়া গেছে সেখানেও। যোগাযোগ ও চিকিৎসার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। এমনকি ওই ইউনিটের কোনো প্রধান নেই গত এক বছর ধরে।

এ অবস্থায় শুধু বিমানবাহিনী দিয়ে ইসরায়েল কতদূর এগোতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে ইসরায়েল তাদের বিমানবাহিনী ব্যবহার করবে কিন্তু অন্যদিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে ইরান সমর্থিত সংগঠনগুলো।

ইরান কিংবা ইরান সমর্থিত সংগঠনের স্থলবাহিনীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য তেহরানের রয়েছে বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার। ইরানসহ লেবানন ও সিরিয়া থেকে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে ইসরায়েল স্বাভাবিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়বে।

এতদিন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। কিন্তু ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর তেহরানের সক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে সবাই। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তিমত্তা ও নির্ভুলতার কারণে স্তব্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

Bootstrap Image Preview