Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আখাউড়ায় করোনা ভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা নয়, জিজ্ঞাসাবাদই একমাত্র ভরসা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৬:২৪ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৬:২৫ PM

bdmorning Image Preview


চীন থেকে বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় দেশের প্রতিটি ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হেলথ ডেস্ক বসানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে হেলথ ডেস্ক বসানো হয়। তবে ভাইরাস পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই হেলথ ডেস্কের কর্মীদের কাছে। মাত্র একটি থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপে চলছে করোনা ভাইরাস শনাক্তের কাজ।

প্রতিদিন ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় একজন করে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডরের মাধ্যমে এই হেলথ ডেস্কের কাজ চলছে।এদিকে একটি স্পর্শকাতর রোগের বিষয় নিয়ে দায়সারা হেলথ ডেস্ক চালানোর ঘটনায় অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই দেশে চলাচলরত যাত্রীরা।

বাংলাদেশি যাত্রীদের একজন রাজীব আহমেদ ভূইয়া জানান, চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে। এছাড়া চীন, ভারত ভ্রমণ করেছে এমন যাত্রীর সংখ্যাও অনেক। এ অবস্থায় স্পর্শকাতর রোগ নির্ণয়ে আখাউড়া হেলথ ডেস্কের নামমাত্র কার্যক্রম চলছে।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ছাড়া এমন লোক দেখানো কাজের কোনও প্রয়োজন ছিল না।অপর যাত্রী মামুন মিয়া বলেন, সন্দেহভাজন যাত্রীদের পরীক্ষা না করে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, বিষয়টি হাস্যকর। এভাবে রোগ প্রতিরোধ ও নির্ণয় সম্ভব না।

ভারত থেকে আসা যাত্রী দিপ্তী রায় জানান, ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে দুই দেশের কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন এবং যুগোপযোগী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস পরীক্ষা ও নির্ণয়ে কোনও যাত্রীকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ নয়, পরীক্ষা করেই নিশ্চিত হতে হবে।

এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দরে হেলথ ডেস্কের দায়িত্বে থাকা আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট গকুল চন্দ্র মন্ডল, নাজমুল আলম ও মাহাবুবুল জানান, তারা ধারাবাহিকভাবে হেলথ ডেস্কের দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাদের কাছে কোনও আধুনিক যন্ত্র বা উপকরণ নেই। কোনও যাত্রীকে সন্দেহ হলে ও তাদের কারও সর্দি-কাশি থাকলে তাদের আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। তবে গত তিন দিনে এমন কোনও যাত্রী পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা।

এদিকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় কোনও যন্ত্রপাতি না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহআলম। তিনি জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের বলেছেন সব জায়গায় থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো সম্ভব নয়। তাই সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যারা সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেছেন এবং যাদের শরীরে জ্বর-সর্দি ও কাশি আছে, তাদের পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখউড়া স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকেন।

Bootstrap Image Preview