Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পুলিশের সঙ্গে যে লোকজন থাকে, তাকেও পার্টি বলে: সিইসি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:৩২ PM
আপডেট: ২৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:৩২ PM

bdmorning Image Preview


নির্বাচনি প্রচারণায় সংঘর্ষের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তাৎক্ষনিকভাবে কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

তিনি বলেছেন, প্রচারণার সময় মারামারি হওয়া খারাপ। এতে আমাদের তাৎক্ষণিক কিছু করার নেই। এটা হলে মামলা হবে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর একটি কেন্দ্রে গিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনীতে তিনি এসব কথা বলেন।

গত রোববার (২৭ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার গোপীবাগে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে অন্তত ১০ জন আহত হন। তার তিনদিন আগে গাবতলীতে মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী প্রচার চালানোর সময় হামলার ঘটনা ঘটে।

বিভিন্ন জায়গায় মারামারি হচ্ছে বিষয়টি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘মারামারি বলতে একাধিক জায়গায়। বিভিন্ন জায়গায় না, নাম্বার ওয়ান। নাম্বার টু মারামারি হওয়া খারাপ। এটাতো আমরা, যারা মারামারি করে মানে দুই দলেরই, এটাতো ক্রিমিনাল অফেন্সের ধারায় তারা (ভুক্তভোগীরা) কেস করবে। কেস করলে তারা (পুলিশ) ব্যবস্থা নেবে। এটাতো... আমাদের তাৎক্ষণিক কিছু করার নেই।’

গোপীবাগের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ একজন সদস্য মোবাইলে নিজেদের পার্টির অবস্থান জানাচ্ছিলেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ কি কোনো দলকে আমাদের পার্টি বলতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, পুলিশের সঙ্গে যে লোকজন থাকে, তাকে পার্টি বলে। পুলিশের পার্টি মানে পুলিশের সাথীরা। তিনি (ওই পুলিশ সদস্য) পুলিশের পার্টি বুঝিয়েছেন, দলের পার্টির না।

আস্থার সঙ্কটের মধ্যে ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিক কিনা জানতে চাইলে কেএম নূরুল হুদা বলেন, অবশ্যই যৌক্তিকতা আছে। ইভিএম-এর মাধ্যমেই ভোটার নিজের ভোট দিতে পারে। আগে জাল ভোটের সম্ভাবনা ছিল। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সম্ভাবনা ছিল। ইভিএমে সেটা নেই।

প্রদর্শনীতে অনেক ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না ইভিএম মেশিনে—এ বিষয়ে সিইসি বলেন, সবার না। দু’এক জনের এমন হচ্ছে। হয়তো তাদের আঙ্গুলের ছাপ বিলীন হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই আমরা এতো পরিশ্রম করছি। সেটা নিশ্চিত হবে আশা করি।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।

Bootstrap Image Preview