Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সোলাইমানিকে হত্যার মূলহোতা মাইকেল ডি আন্দ্রিয়া নিহত!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:০৫ PM
আপডেট: ২৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:০৫ PM

bdmorning Image Preview


ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের নীল নকশাকারী মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ইরাক, ইরান এবং আফগান মিশনের প্রধান মাইকেল ডি আন্দ্রিয়া আফগানিস্তানে বিমান বিধ্বস্তে নিহত হয়েছেন।

জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের গুলিতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে আন্দ্রিয়া নিহত হন বলে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে।

রুশ গোয়েন্দারা বলছেন, ভূপাতিত করা বিমানে ছিলেন মাইকেল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের ব্যবহার করা অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি এবং নথি তালেবানের হাতে রয়েছে।

আইএফপি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পেছনে ছিলেন মাইকেল ডি. অ্যান্ড্রু।

মধ্যপ্রাচ্যে সিআইএ-র চেনা মুখ ছিলেন মাইকেল। কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার আগে ইরাকে অন্তত তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে তার নির্দেশে হত্যা করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ৮৩ জন যাত্রী নিয়ে আফগানিস্তানের গজনিতে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি আফগানিস্তানের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে কাবুলের দিকে যাচ্ছিল। দেহ ইয়াক অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ওই অঞ্চল তালেবান প্রভাবিত। এক প্রাদেশিক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই প্রাদেশিক মুখপাত্র জানান, প্রযুক্তিগত কারণে বিমানটিতে আগুন লাগে। এতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ওই বিমান দুর্ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থলে অনেক তালেবান সদস্য রয়েছে। তারা বিমানটিতে আরো আগুন লাগনোর চেষ্টা করছে। এদিকে, আফগান বিশেষ বাহিনী ঘটনাস্থলে দ্রুত যাচ্ছে। বিমানটির মালিকানা আরিয়ানা নামক একটি সরকারি বিমান পরিবহন কম্পানির। তবে বিমনাটি তাদের নয় বলে দাবি করছে সংস্থাটি।

আরিয়ানা আফগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া তাদের সকল বিমান নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেছে এবং তাদের কোনো বিমান বিধ্বস্ত হয়নি। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলের সর্বশেষ অবস্থা জানা যায়নি।

মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য তালেবানের দাবি নাকচ করে দিয়েছে। তাদের দাবি, তালেবান মিথ্যা দাবি করছে। তবে তালেবানের দাবি, বিমান বিধ্বস্তের খানিক পরেই তারা সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে।যদিও তালেবানরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।

সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছবিও তুলেছেন। সেখানে বিমান বিধ্বস্তের পর ধ্বংসাবশেষ পড়ে ছিল।

Bootstrap Image Preview