আফগানিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। যদিও দেশটির এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন পর্যন্ত তাদের কোনো বিমানই বিধ্বস্ত হয়নি। ফলে বিধ্বস্ত বিমানটির বিষয়ে এরই মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানী কাবুলের গজনি প্রদেশের দেহ ইয়াক জেলায় ৮৩ যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সরকারি একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এলাকাটি মূলত তালিবানের শক্ত ঘাঁটি বলে জানা যায়। তিনি বলেছেন, বিমানটি বিধ্বস্তের পরপরই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।
প্রাদেশিক গভর্নর ওয়াহিউল্লাহ কালিমজাই বেসরকারি টেলিভিশন টোলো নিউজকে বলেছেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা, এমনকি বিমানটির নাম ও মডেলের ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রথমে বিধ্বস্ত সেই বিমানটি আরিয়ানা এয়ারলাইন্সের বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। যদিও বিমান সংস্থাটি তাৎক্ষণিক সেই খবর নাকচ করে দিয়েছে। তাদের দাবি, আরিয়ানা এয়ারলাইন্সের সবগুলো বিমানই যথাযথভাবে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছেছে।
মূলত এর পরপরই দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আফগানিস্তানে কোনো বেসামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়নি। এমনকি বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালিবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী এখন পর্যন্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষের কোনো অবস্থান খুঁজে বের করতে পারেনি।
এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে যাত্রী ও ক্রুসহ মোট ৮৩ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মিরর জানিয়েছিল, বিধ্বস্ত বিমানটি বোয়িং ৭৩৭-৪০০ মডেলের। এটি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ। ধারণা করা হচ্ছিল, ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে বিমানটির সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।