ভালো কিছুর আশায় সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচক- একসঙ্গে দুই দায়িত্বই দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু নতুন দায়িত্বে শুরুটা একদমই ভালো ছিলো না মিসবাহর।
যে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রীতিমতো রাজা বলা চলে পাকিস্তানকে, সে ফরম্যাটে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সারির শ্রীলঙ্কার কাছে ০-৩ ও পরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলতে গিয়ে ০-২ ব্যবধানে হেরেছিল মিসবাহর দল। যার ফলে একপ্রকার কোণঠাসা অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল তারা।
সবকিছু স্বাভাবিক করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিলো জয়। দেরিতে হলেও কাঙ্ক্ষিত জয় তারা পেয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। এ সিরিজ জয়ের সুবাদে অবশেষে নিশ্বাস নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিসবাহ উল হক।
বাংলাদেশকে সিরিজ হারানোর পর সংবাদ মাধ্যমে মিসবাহ বলেন, ‘অবশ্য আপনি জয়ের জন্য খেলেন এবং এজন্য সবসময় চেষ্টা করতে থাকেন। এ (সিরিজ) জয় আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো কারণ এতে আমরা এখন নিশ্বাস নেয়ার জায়গা পেলাম। এখন আমরা বসে দেখতে পারবো কোথায় আমাদের ঘাটতি রয়েছে। সেগুলো শুধরে নিজেদের আরও শক্তিশালী করতে পারবো।’
পাকিস্তানের হেড কোচ আরও বলেন, ‘অন্যথায় চাপের মাঝে আপনি সবসময় কিছু না কিছুর পেছনে ছুটতে থাকেন এবং প্রায়ই সবকিছু এক করে সামাল দেয়া সম্ভব হয় না। তাই এটা আমার জন্য, দলের জন্য এবং তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য অনেক ভালো হলো। কারণ এখন আমরা স্থির হয়ে বসতে পারবো এবং সামনের চ্যালেঞ্জের দিকে আরও মনোযোগ দিতে পারবো।’
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে বর্তমানে শীর্ষেই অবস্থান করছে পাকিস্তান। কিন্তু তারাই ২০১৯ সালে ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছিল মাত্র ১টিতে। সেই দুঃসময় কাঁটিয়ে পাওয়া জয়ে স্বস্তির নিশ্বাস পাকিস্তান কোচের কণ্ঠে। তার মতে সিরিজ জয়ের মূল কৃতিত্ব বোলারদের।
তিনি বলেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো জয়। কারণ পরপর কিছু ম্যাচ হারার কারণে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়াটা অনেক বেশি দরকারি ছিলো। এর পেছনে মূল কৃতিত্ব অবশ্যই বোলারদের। আমাদের তরুণ পেসাররা যেভাবে বোলিং করেছে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভালো করার কোনো সুযোগই পায়নি। সবমিলিয়ে এটি পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্যই ভালো। যেহেতু সামনেই বিশ্বকাপ।’