Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলায় আহত ৩

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২০, ০৫:২২ PM
আপডেট: ২৭ জানুয়ারী ২০২০, ০৫:২২ PM

bdmorning Image Preview


বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম কোন রকেট হামলায় বাগদাদে কোন মার্কিন দূতাবাস কর্মী আহত হলেন। বিবিসি বাংলার খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ধরণের ধারাবাহিক হামলার ফলে ইরাক আবার যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমাদের কূটনৈতিক সুযোগসুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়ার যে বাধ্যবাধকতা ইরাকি কর্তৃপক্ষের রয়েছে, তাদের তা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। দেশটিতে মার্কিন স্থাপনায় রোববারের এই হামলাল দায় কেউ স্বীকার করেনি। টাইগ্রিস নদীর পশ্চিমতীরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ শোনার কথা জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। ওই অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশন রয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, অতি সুরক্ষিত ওই অঞ্চলটিতে তিনটি কাতিউশা রকেট গিয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, পাঁচটি রকেট হামলা হয়েছে।পরবর্তীতে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, গ্রিনজোনে পাঁচটি কাতিউশা রকেট আঘাত হানলেও তাতে কেউ হতাহত হননি।

গত বছরের অক্টোবরে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ১০৯টি রকেট ছোড়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বলছে, ইরান সমর্থিত আধাসামরিক গোষ্ঠীগুলো এ হামলা করছে।

গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হলেন ইরানি প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর দিন পাচেক পর ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে উপর্যুপরি রকেট হামলা চালায় ইরান।

এতে ইরাকে যেসব ঘাঁটিতে মার্কিন সেনা রয়েছে, সেখানে নতুন করে নিরাপত্তা নিয়ম তৈরিতে বাধ্য হয়েছে। ঘাঁটির বাইরে সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের মধ্যে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে হলে প্রতিরক্ষামূলক জিনিসপত্র ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ইরাকি অংশীদারদের ঘাঁটিতে যে করিডর দিয়ে প্রতিদিন যেতে হয় জোট বাহিনীর কর্মকর্তাদের, সেখানে অন্যান্য ইরাকি কমান্ডারদের পাশাপাশি এখনও সোলাইমানির সঙ্গে নিহত মুহান্দিসের ছবিও ঝোলানো আছে।

কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা অনুভব করছেন, সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর সেখানকার পরিস্থিতি আরও জটিল ও গভীর হয়ে উঠছে। পরিহাসের বিষয় হচ্ছে– নিহত হওয়ার কয়েক দিন আগেও বাগদাদের গ্রিন জোটে ছিলেন ইরাকি একটি আধাসামরিক বাহিনীর কমান্ডার মুহান্দিস।

তার শিয়াপন্থী বাহিনী ইরানের কাছ থেকে সহায়তা পেয়ে আসছে, কিন্তু তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

Bootstrap Image Preview