Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শীতের শেষ দিনগুলোতে ঠান্ডা ও জ্বর থেকে মুক্ত থাকার উপায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২০, ১২:১৪ PM
আপডেট: ২৬ জানুয়ারী ২০২০, ১২:১৪ PM

bdmorning Image Preview


শীতের দিনগুলো দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এলো। এবার শুরু হবে বসন্তের। এ সময় মৌসুমের পরিবর্তন শরীরে বেশ প্রভাব ফেলে। এই দিনগুলোতে কখনো ঠান্ডা, কখনো একটু চড়া তাপমাত্রায় জাঁকিয়ে ধরে ফ্লু, সর্দি-কাশি।

অনেক সময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না, কী ধরনের জ্বর হয় এবং তা থেকে সেরে ওঠার উপায়। তাই সাধারণ জ্বরের ওষুধ খেয়েই সপ্তাহ খানেক সময় নষ্ট করে রোগীরা। সে কারণেই জ্বরের উপসর্গের ফারাক জেনে রাখা খুবই জরুরি।

কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন

১) এ সময় খুব বেশি জ্বর হবে এমন কোনো কথা নেই। হালকা গা গরম থেকেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ভাইরাল ফ্লু।

২) জ্বরের সঙ্গে গা-হাত-পায়ে ব্যথা অনুভব বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থাকে।

৩) অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে নাক দিয়ে কাঁচা পানি ঝরা, সর্দি-কাশির দেখা দিতে পারে।

৪) জ্বরের সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, দুর্বল লাগা, স্বাদে অরুচি এগুলো অসুখের অন্যতম লক্ষণ।

এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকেও জ্বর তিন-চার দিনে না কমলে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু সতর্কতাও অবলম্বন করতে হবে।

মেনে চলুন এসব

১) যতটা সম্ভব ঠান্ডা না লাগানোর চেষ্টা করুন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অল্পেই ঠান্ডা লাগতে পারে। তার হাত ধরে জ্বরে পৌঁছে যাওয়া নতুন কিছু নয়।

২) ঠান্ডার সমস্যা থাকলে গোটা শীত ও বসন্তকাল জুড়েই উষ্ণ পানিতে গোসল করুন।

৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনো ওষুধ নয়।

৪) তালিকায় রাখুন সবুজ শাকসবজি। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এমন খাবারদাবারও রাখতে পারেন।

৫) শরীরে পানির পরিমাণ কমিয়ে ফেললে চলবে না। ঠান্ডা পানীয়, মদ্যপান এসব থেকে দূরে থাকুন। কারণ এসব তরল শরীরের পানি শোষণ করে শরীরকে শুষ্ক করে দেয়।

৬) বেশি দূষণযুক্ত এলাকায় থাকলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

৭) কাশি হলে দোকান থেকে কিনে আনা যেকোনো কফ সিরাপ নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এসব ব্যবহার করুন।

Bootstrap Image Preview