Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিড়ি-সিগারেট খাওয়া হালাল নাকি হারাম ?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০২০, ০২:৪০ PM
আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০২০, ০২:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


প্রশ্ন : ধূমপান করা হালাল, হারাম নাকি মাকরুহ? সেই সঙ্গে তামাক দ্বারা প্রস্তুতকৃত জর্দা, গুল ইত্যাদির বিধান কী?

উত্তর : ডাক্তারদের ঐকমত্যে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হওয়ায় তা মাকরুহ। তা ছাড়া এতে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়ায় সহচর মানুষ ও ফেরেশতাদের কষ্ট হয়ে থাকে। তদ্রুপ তামাক দ্বারা প্রস্তুতকৃত জর্দা, গুল ইত্যাদিও ডাক্তারদের মতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় তা পরিহারযোগ্য। (আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৪৬০, আহসানুল ফাতাওয়া : ৮/১১০, আফকে মাসায়েল আউর উনকা হল : ৭/১৮২, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত ১১/৪০৬-৪০৯)

বিড়ি-সিগারেট খাওয়া মানে ধূমপান করা। ইহা ইসলামী দৃষ্টিকোণ ও ডাক্তারী দৃষ্টিকোণ, কোন বিভাগেই বৈধতা নেই বিন্দু পরিমাণ উপকার নেই, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন ক্ষতিকর তেমনি স্বাস্থ্যগত অবস্থানেও মারাত্মক ক্ষতিকর। প্রথমেই ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে উহার ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরছি :

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে শরয়ী বিধান হলো সকল ফকীহ এবং মুজতাহেদীন একমত যে, যা দ্বারা ক্ষতি হয় এবং ধ্বংস টেনে আনে তা থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব (ওয়াজিব নষ্ট করা) ঐ সকল কাজ করা সম্পূর্ণ হারাম।

ইমাম আহমাদ ও ইবনে মাজা বলেছেন ‘‘ইহা ক্ষতিছাড়া আর কিছু না, ইহা ক্ষতি ছাড়া আর কিছু না।’’ কোরআনের বিধান- ‘‘নিজের হতেই নিজেদের ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো না।’’

নিজেই নিজের ক্ষতি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ইহার সমূহ ক্ষতিকারক দিক রয়েছে যেমন :

১. স্বাস্থ্যগত ক্ষতি; ২. আর্থিক ক্ষতি; ৩. সামাজিক ক্ষতি।

স্বাস্থ্যগত ক্ষতি : ফুসফুসে যক্ষ্মা, ক্যান্সার দেখা দেয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায় (নূর থাকে না), অকালে দাঁত নষ্ট হয়, শ্বাসকষ্ট, কাঁশি, রোগসহ অলসতা সৃষ্টি হয় (প্রাণচাঞ্চল্য থাকে না), যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

আর্থিক ক্ষতি : নানা কারণে বিনা প্রয়োজনে ইচ্ছে করে অর্থ নষ্ট করলে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। অনর্থক, অপচয়কৃত, অর্থদান করলে গুণাহ মাফ হয়, তাওবা কবুল হয়। জান্নাত নসীব হয় চিরদিনের জন্য।

সামাজিক ক্ষতি : ধোঁয়া পরিবেশকে নষ্ট করে সমাজের ক্ষতি করে। সাথে কেউ বসলে অকারণে তারও ক্ষতি করা হয়, মনে মনে বিরক্ত হলেও ভদ্রতার খাতিরে অনেক সময় কিছু বলতে পারে না, মানসিক ক্ষতি করা হয়।

মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে নামাজ পড়লে, দোয়া করলে কবুল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। রহমতের ফেরেশতাও কাছে না থাকারই কথা, আল্লাহর দয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

সকল ফকীহ্গণই একমত যে স্পষ্টই নিষিদ্ধ বা হারাম। তাই সকল জ্ঞানবান নাগরিকের প্রতি আহবান ‘ধূমপান বর্জন করুন'। বিশেষ করে শিক্ষিত ভাইদের প্রতি আমার আবেদন নিজের ক্ষতি করবেন না, অপর ভাইকে প্রকাশ্যে ধূমপান করে ধূমপানে উৎসাহিত করবেন না। কোন সুরুচিশীল ব্যক্তির ইহা কাম্য হতে পারে না।

Bootstrap Image Preview