Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চুল কাটানোর সিরিয়াল নিয়ে বাতবিতণ্ডা, ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করল যুবলীগ নেতা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:৫৮ PM
আপডেট: ২৪ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:৫৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বগুড়ায় সেলুনে চুল কাটানোর সিরিয়াল নিয়ে বিরোধে সায়েদ আলী (৪০) নামে এক স’মিল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সদরের নুনগোলা বাজারে ওই স’মিলে এ হামলার পর তিনি একটি হাসপাতালে মারা যান। পুলিশ হত্যায় জড়িত সন্দেহে নিশিন্দারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রুবেল হোসাইন (৩০) ও তার সঙ্গী সীমান্তকে (২৫) আটক করেছে। তবে এলাকাবাসীরা বলেছেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় যুবলীগ সন্ত্রাসী রুবেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের আশোকোলা পূর্বপাড়া গ্রামের তোজাম পাইকারের ছেলে সায়েদ আলী নুনগোলা বাজার এলাকায় স’মিলের (কাঠের) ব্যবসা করেন।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী লেংরাবাজারের একটি সেলুনে চুল কাটানো নিয়ে নিশিন্দারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বারপুর উত্তরপাড়ার মাহফুজার রহমানের ছেলে রুবেল হোসাইনের লোকজনের সঙ্গে ব্যবসায়ী সায়েদ আলীর লোকজনের বাতবিতণ্ডা হয়। এর জেরে রুবেলের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গ বারপুর উত্তরপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে সীমান্ত, জনি, শান্তসহ কয়েকজন স’মিলে ঢোকে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সায়েদ আলীকে কুপিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দুপুর ২টার দিকে সায়েদ আলী মারা যান।

তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, যুবলীগ নেতা রুবেল ও তার লোকজন নুনগোলা এলাকায় চাঁদাবাজি করেন। নিহত সায়েদ আলীর ভাই জাফরুল এর প্রতিবাদ করলে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জেরে বেলা ১২টার দিকে রুবেলের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী স’মিলে গিয়ে জাফরুলকে না পেয়ে ভাই সায়েদ আলীকে ছুরিকাঘাত ও কোপায়।

বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম দুলু জানান, রুবেল হোসাইন নিশিন্দারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিশিন্দারা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আম্বার হোসেন জানান, কোনো চাঁদাবাজি নয়; সেলুনে সিরিয়াল দেয়া নিয়ে বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে যুবলীগ নেতা রুবেল ও তার সঙ্গী সীমান্তকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। বিকাল পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়নি।

Bootstrap Image Preview