Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ প্রত্যাখ্যান মিয়ানমারের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০২০, ১১:০১ AM
আপডেট: ২৪ জানুয়ারী ২০২০, ১১:০১ AM

bdmorning Image Preview


রোহিঙ্গা নিধন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। আদালত খণ্ডিত চিত্র বিবেচনা করে এই আদেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছে তারা। খবর ‘বিবিসি’।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার অন্তর্বর্তীকালীন রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গারা ‘গণহত্যার ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে’।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিতে মিয়ানমার কোনো প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেনি। কিন্তু এ ধরনের প্রস্তাবনা খুবই প্রয়োজন ছিল। মিয়ানমারকে গণহত্যা সম্পর্কিত নীতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। পরবর্তীকালে কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ড যেন না ঘটে সেজন্য নিতে হবে সবধরনের ব্যবস্থা।

এছাড়া সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেন কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডে না জড়ায় সেটি নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালত।

তাছাড়া আদালত অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের অগ্রগতি সম্পর্কে ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে মিয়ানমারকে নির্দেশ দিয়েছেন। সে সঙ্গে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য কী করা হয়েছে ৬ মাস পর পর তা জানাতেও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাখাইন পরিস্থিতির খণ্ডিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। রাখাইনে কোনো গণহত্যা হয়নি। নিজস্ব স্বাধীন কমিশনের তদন্তে এমনটিই উঠে এসেছে।

এ দিকে মিয়ানমার সরকারের দাবি, মানবাধিকার সংস্থাগুলো তাদের সঙ্গে কিছু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এ কারণে মিয়ানমারের টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানি শুরু হয়। এই শুনানি চলে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৩ দিনের ওই শুনানিতে উভয় পক্ষ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিশাল সামরিক অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা ওই রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মূলত ওই অভিযান নিয়েই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। 

Bootstrap Image Preview