Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশি মনে করে প্রায় ২০০ মুসলিমের ঘর ভাঙল ভারতীয় পুলিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০২০, ১০:৩২ PM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০২০, ১০:৩২ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের ব্যাঙ্গালোরে বাংলাদেশিদের বস্তি সন্দেহে প্রায় ২০০ বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অবৈধ বাংলাদেশিদের বস্তি সন্দেহে পুলিশ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মিলে এ অভিযান পরিচালনা করে।

তবে যাদের বাড়িঘর ভাঙা হয়েছে, তারা সবাই ভারতের নাগরিক এবং তাদের কাছে দেশটির বৈধ পরিচয়পত্রও আছে বলে অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন।

অ্যাক্টিভিস্টদের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি সোশ্যাল মিডিয়ায় তথাকথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে লাগাতার উসকানিমূলক পোস্ট করে চলেছেন। এর ভিত্তিতেই পুলিশ বাংলাভাষী মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে এই অভিযান শুরু করে।

ব্যাঙ্গালোরের বেলান্ডার শহরতলিসহ আরও কয়েকটি জায়গায় তথাকথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে এ অভিযান শুরু হয় শনিবার রাতে। দফায় দফায় তা চলে রোববারও। মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু।

এনজিও কর্মী আর কলিমুল্লা জানান, ‘কুন্দনহাল্লি, মোনেকালাসহ মোট চারটি জায়গায় পুলিশ একসঙ্গে বুলডোজার নিয়ে হানা দেয়।

তারা বলে, বাংলাদেশিদের দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘর খালি করে দিতে হবে। আমি ও আমাদের টিম তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। পুলিশ ঘরে ঢুকে খাবার পানির পাত্রও লাথি মেরে উল্টে দেয়। কেটে দেয় বিদ্যুৎ সংযোগ। সঙ্গে চলতে থাকে বাংলাদেশিদের নামে গালাগালি।’

স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেল ‘সুবর্ণা নিউজে’ দাবি করা হতে থাকে, তাদের স্টিং অপারেশনেই ফাঁস হয়েছে ওই বস্তির বাসিন্দারা ‘বাংলাদেশি’। চ্যানেলটির দাবি, পুলিশকে ঘুষ দিয়ে তারা ভারতের কাগজপত্র বানিয়েছে। আর তা প্রকাশ হয়ে পড়াতেই নাকি পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়েছে।

ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও দাবি করেছেন, সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে আইনজীবী ও সমাজকর্মী দর্শনা মিত্র বিবিসির কাছে ভিন্ন ছবি তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো বাছবিচারের ব্যাপারই নেই। এবারের ঘটনায় লোকজন তাদের পরিচয়পত্র বা আইডি দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যাঙ্গালোর পুলিশ তা চেক করারও প্রয়োজন বোধ করেনি।’

Bootstrap Image Preview