মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের লাগাম টানতে তেহরানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সৌদি আরব।
রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-এরাবিয়া জানায়, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি একটি অধিবেশনের আয়োজন করে। সেখানে সৌদির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বর্তমানে ইরানকে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৭৯ সালে প্রথম ইরানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল সৌদি। কিন্তু ধ্বংস ও মৃত্যু ছাড়া আমরা আর কিছুই পাইনি। সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হওয়ায় তেহরানের সঙ্গে রিয়াদের কখনোই বনিবনা হবে না।
তিনি আরও বলেন, তেহরান যাতে তাদের নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়; তাই দেশটির বিরুদ্ধে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের মাত্রা বাড়াতে হবে।
ইরাক, ইরান ও লেবাননে চলমান উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে যুবরাজ সালমানের এই কর্মকর্তা বলেছিলেন, ইরান সরকার এরই মধ্যে তাদের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। বর্তমানে তারা আত্মরক্ষামূলক কৌশলের মধ্যে রয়েছে। ইরানিদের প্রভাবের বিরুদ্ধে ইরাকে শিয়া বিক্ষোভ হচ্ছে। তাছাড়া লেবাননেও চলছে হিজবুল্লাহবিরোধী বিক্ষোভ।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ জানুয়ারি ভোররাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। যদিও বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।