Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পর্তুগালে আওয়ামীলীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৫, বিএনপি নেতার ২ ছেলে আটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ০৭:৫৯ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:০৫ PM

bdmorning Image Preview


পর্তুগালে বাংলাদেশি দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  শনিবার স্থানীয় সময় রাতে দেশটির রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত মার্তৃম-মনিজ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয় বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লিসবনের সান্তা মারিয়া মাইওর জইন্তার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল কোয়েলো।

প্রবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি দুই ব্যবসায়ীর মাঝে চলতে থাকা বিরোধের জের ধরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের প্রায় চল্লিশজন পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়ে পড়েন। গত বছর সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষের মাঝে প্রথম মারামারির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে এ বিরোধের জেরে শনিবার তাদের দুই পক্ষের মাঝে আবারও সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের পরপরই সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে লিসবনের সাও জোসে হাসপাতালে পাঠায়। এতে করে পর্তুগালের লিসবনে বসবাসরত সাধারণ বাংলাদেশিদের মাঝে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। তারা এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

এ হামলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্তুগিজ কিছু গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে লিসবনে বাংলাদেশি দুই পক্ষের মারামারিকে দাবি করা হয় ‘ধর্মীয় রেষারেষি থেকে সৃষ্ট’ একটি ঘটনা হিসেবে। সেখানে একটি গবেষণা জরিপ দেখানো হয় যাতে অভিবাসীদের মাঝে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মারামারি তাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।

এদিকে,  ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে রোববার(১৯ জানুয়ারি) রাত থেকে অভিযানে নেমেছে দেশটির পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত উভয়পক্ষ গা ঢাকা দিয়েছে। উক্ত ঘটনায় বাঙ্গালি পাড়ায় গোয়েন্দা নজরদারী ও পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। রাতে পর্তুগাল বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরীর আরইশস্থ বাসভবনে তল্লাশী চালানো হয়। সে সময় তার দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া বাংলাদেশি কিছু সংবাদমাধ্যমে এ হামলায় একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে, ঘটনাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষের হামলা বলেও চালিয়ে দেওয়া হয়। হামলার দুই পক্ষের মূল হোতারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে থাকলেও এ হামলার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো ইন্ধন নেই বলে জানান প্রবাসীরা, হামলা সংঘঠিত হয় তাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে।

এদিকে হামলা পরবর্তী সময়ে আতঙ্কে রয়েছেন পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসীরা এবং অভিবাসন প্রত্যাশায় এদেশে আসা নতুন বাংলাদেশিরা। এমন হামলার জেরে পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানহানির পাশাপাশি অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্য আগামী দিনে অভিবাসনের বিভিন্ন ইস্যুতে কঠোরতা আরোপ করার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

Bootstrap Image Preview