Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য, শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ৩

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ০৭:০৪ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ০৭:০৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কয়েস আল কায়কোবাদ লাজুকসহ (৪০) দুই সহযোগীকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্য দুই জন হলো-শামছুজ্জামান বাপ্পি (২৫), তৌহিদা আক্তার রুমা (৩২)।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ২ টার দিকে পৌর শহরের বালুয়াপাড়া মোড় এলাকা থেকে মাদকসেবন অবস্থায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাকৃত লাজুক উপজেলার ধূরুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে, তৌহিদা আক্তার (রুমা) পৌর শহরের সতিষা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে, শামছুজ্জামান বাপ্পি বোকাইনগর অষ্টগড় গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে।

গৌরীপুর থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সহকারী শিক্ষক মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী কয়েস আল কায়কোবাদ লাজুক ও তার সহযোগীরা তাদের নিজস্ব ফেসবুক আইডিসহ বিভিন্ন ফেইক আইডি দিয়ে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের লোকজনের বিরুদ্ধে নানা অশ্লীল আপত্তিকর মন্তব্য এবং এডিট করা অশ্লীল ছবি পোস্ট করে সম্মান ক্ষুন্নসহ তাদেরকে ব্লাকমেইল করে আসছিল। এ চক্রের কু-কর্মের কাছে সবাই ছিল অসহায়। কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনকে নিয়ে ফেসবুকে অশ্লীল ভাষায় বিভিন্ন মন্তব্য ও ফটোশপে এডিট করা আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেন তারা। এ ঘটনায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় এ ৩ জনকে মাদকসেবন অবস্থায় ২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাদক আইনে দুটি মামলায় তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে এ চক্রের সকল সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন জানান, শিক্ষক লাজুক কিছুদিন আগে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষক বদলি করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ১৯ ও ২০ জানুয়ারি লাজুক তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি ও অন্যান্য আইডির মাধ্যমে অশ্লীল মন্তব্য এবং এডিটিং করা আপত্তিকর ছবি আপলোড দেন।

তারা এ শিক্ষা কর্মকর্তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন অশ্লীল মন্তব্য করে বলে জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview