কক্সবাজারের মহেশখালীতে অস্ত্র ও গুলি তৈরির একটি ছোট কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।সোমবার দুপুরে উপজেলার হোয়ানক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তৈরি করা বন্দুকসহ বন্দুক ও গুলি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।এ সময় বাড়ির মালিক ও অস্ত্র কারিগর আবদুর রহিম মালেককে গ্রেফতার করা হয়।
মহেশখালী থানা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ওসি প্রভাষচন্দ্র ধরের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাবুল আজাদ, এসআই মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে পুলিশের আলাদা ৩টি ইউনিট ২০ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য মহেশখালীতে অভিযান পরিচালনার করছিল। এ সময় উপজেলার হোয়ানক পানিরছড়ার ছড়ারআগা নামক স্থানের একটি বাড়িতে দেশীয় বন্দুক তৈরির একটি কারখানায় অস্ত্র তৈরি হচ্ছে বলে খবর পায়।
পরে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বাড়ির মালিক ও অস্ত্রের কারিগর আবদুর রহিম মালেককে (৩৩) অস্ত্র তৈরির সময় হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, গুলির খোসা ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, কার্তুজের খোসা ৬৫ রাউন্ড, রাইফেলের গুলি ৩ রাউন্ড, রাইফেলের গুলির খোসা চারটি এবং অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
অস্ত্র কারিগর মালেক ওই এলাকার মৃত. গুরা মিয়ার সন্তান। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানায় এসআই মো. শাহজাহান বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছে। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই খোকন চন্দ্র দাশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, অস্ত্রের কারিগর আবদুর রহিম মালেক দীর্ঘদিন যাবৎ তার ঘরে এবং পাহাড়ে তার আস্তানায় অস্ত্র তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের নিকট সরবরাহ করে আসছিল।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বন্দুক তৈরির ছোট ছোট কারখানা রয়েছে। এ সব কারখানায় প্রস্তুত হওয়া দেশীয় বন্দুক বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে তা সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যায়। বিগত সময় মহেশখালীতে এমন বহু অস্ত্রের কারখানায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ কারিগরদের গ্রেফতার করলেও মহেশখালীতে অবৈধ বন্দুক তৈরির কাজ যেন থামছে না।