Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিধস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স ইউক্রেনকে দিচ্ছে ইরান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২০, ১০:২৪ AM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০২০, ১০:২৪ AM

bdmorning Image Preview


ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমানের ব্ল্যাকবক্স এবার ইউক্রেনের হাতে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছে তেহরান। তাছাড়া ব্ল্যাকবক্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে ফ্রান্স, কানাডা এবং মার্কিন বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। 

ইরানের বেসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন কর্তৃক গঠিত কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কমিটির প্রধান হাসান রেজাফার বলেছেন, আমরা ফ্রান্স, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টার করব। প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হলে ব্ল্যকবক্সটি ফ্রান্সে পাঠানো হবে। 

ইরানে ব্ল্যাকবক্স খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে রেজাফার বলেন, এটি আমরা কখনোই ইরানে খুলব না। কেননা এই ব্ল্যাকবক্সের সঙ্গেই বিমান বিধ্বস্তের সব তথ্য লুকিয়ে আছে। 

এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।

সোলাইমানিকে হত্যার পর থেকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার প্রেক্ষিতে কিছুদিন ধরে ওয়াশিংটনকে পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছিল তেহরান।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হামলাটি চালানো হয়। অপর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, মার্কিন প্রশাসনের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সেই হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সে দিনই তেহরানে ইউক্রেনের ‘বোয়িং-৭৩৭’ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১৭৬ জনের প্রত্যেকেই মারা যান।

এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

Bootstrap Image Preview