Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, পুলিশ সদস্য কারাগারে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১৬ AM
আপডেট: ১৮ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১৬ AM

bdmorning Image Preview


বরগুনায় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাখাওয়াত হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

এর আগে ১৫ জানুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বরগুনা সদর থানায় বাদী হয়ে নারী নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ওই পুলিশ সদস্যকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

ভুক্তভোগী গৃহবধূর অভিযোগ, পাথরঘাটা থানার পুলিশ কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিবাহের আগেও তার দুটি স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে তা আমার জানা ছিলো না। তারপরও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে আমি তার সঙ্গে সংসার করতে রাজি হই। কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সে আমার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক দাবি করে। আমার বাবা একজন গরীব জেলে তাই আমি তার যৌতুকের টাকা দিতে পারি নাই।

আমি যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার উপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। আমাকে সরানোর জন্য আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।  ডিভোর্স দিতে রাজি না হওয়ায় ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

এক পর্যায়ে সাখাওয়াত হোসেন একটি বগি দা নিয়ে আমাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে কোপ দেয়। এ সময় আমি আত্মরক্ষার্থে হাত পেতে দিলে আমার হাতের কব্জি কেটে যায়। এ সময় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা একটি তালাক নামায় আমার স্বাক্ষর নেয়। এরপর সাখাওয়াতসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা নিয়ে আসে।

ওই গৃহবধূ আরও বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে ঘোরাঘুরির পর বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে বরগুনা সদর থানাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে। বরগুনা সদর থানায় আমি নারী নির্যাতন আইনে মামলা করলে তারা সেই রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘সাখাওয়াত আমাদের পুলিশ বাহিনীর কনেস্টবল পদে কর্মরত ছিল। তার স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। থানায় আটক অবস্থায় উশৃঙ্খল আচরণ ও আইন লঙ্ঘন করার কারণে প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ সুপার স্যার কনেস্টবল সাখাওয়াতকে সাসপেন্ড করেছেন। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।’

Bootstrap Image Preview